বাদামের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর। বাজারে বাদাম সারা বছরই পাওয়া যায়। শীতে বাদাম শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কিন্তু বাদাম খাওয়ার পর পানি খেতে অনেক সময় বারণ করা হয়। বাদাম খাওয়ার পর পানি খেলে আসলে কী হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অনেকের মুখে বলতে শোনা যায় বাদাম খেয়ে পানি খাওয়া যাবেনা। অনেকে বিশ্বাস করেন বাদাম খেয়ে পানি খেলে হঠাৎ করে কাশি হতে পারে। আবার গলা খুশখুশ করতে পারে বাদাম খেয়ে পানি খেলে।
চিনাবাদাম গরম হওয়ায় খাওয়ার পর আমাদের শরীরের তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। যখন আমরা পানি পান করি তখন আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এতে করে বাদামের পর পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। আমাদের শরীরে একই সঙ্গে শীত ও গরমের ফলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত গরম থেকে এসে আমরা ঠান্ডা পানি পান করলে যেমন হয় তেমন।
সুতরাং, এটি একটি কুসংস্কার নয় যে চিনাবাদাম খাওয়ার সাথে বা ঠিক পরেই পানি পান করা উচিত নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, কারো যদি বাদামে অ্যালার্জি থাকে তবে তা শরীর থেকে হিস্টামিনের মতো রাসায়নিক নিঃসরণ করে যা পানি পান করার পরে শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলোর কারণ হতে পারে। তাই বাদাম খাওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট পর পানি পান করুন।
বাদাম কেন তৃষ্ণার্ত করে তোলে?
বাদাম সাধারণত শুকনা হয়। তাই সাধারণ বাদাম খেলে দেখা যায় গলা শুকিয়ে যায় এবং পানি পিপাসা লাগে। তৈলাক্ত খাবার বা বাদাম খাওয়ার পরে, খাদ্যনালীতে চর্বি জমা হতে পারে যা গলা ব্যথা এবং কাশি সৃষ্টি করে, যার ফলে আপনি পানি পান করার তাগিদ অনুভব করতে পারেন। এজন্য এই অভ্যাস অবশ্যই আপনাকে এড়াতে হবে।
শীতকালে বাদাম খাওয়া ভালো কেন?
১. চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ এবং পেট ভরা রাখে, তাই আপনি চাইলে স্বাভাবিকভাবেই সারাদিনে অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়া কমিয়ে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
২. . হার্ভার্ড গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ মানুষ ওজন কমানোর জন্য বাদাম ও পিনাট বাটার বেছে নেন।
৩. আপনি যখন প্রতিদিন এক মুঠো চিনাবাদাম খাবেন, তখন আপনার শরীর উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইবার এবং পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস পাবে যা আপনার ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৪. বাদাম আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায় যা শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. কোলেস্টেরল লেভেল কম রেখে বাদাম হার্টকে ভালো রাখে। এছাড়া রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যা এবং স্ট্রোকের মত সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে বাদাম।
৬. বাদাম হলো লো গ্লাইসেমিক খাবার যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো।
তবে বাদাম থেকে আপনি সব সুবিধা পেতে চাইলে পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।