জুমবাংলা ডেস্ক : বান্দরবান পৌর শহরে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় আটক দুই আসামি রফিক ও জিহাদ সোমবার ১৯ অক্টোবর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বান্দরবানের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম নিজ খাস খামরায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী সময় নিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে ভিকটিম নিজে এসে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত রফিক (২৫) ও জিহাদ (১৮) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর প্রধান আসামি জয়নাল এখনো পলাতক রয়েছে।
শনিবার ১৭ অক্টোবর রাতে বান্দরবান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার কাছাকাছি একটি পাহাড়ে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা তরুণী একজন পোশাক শ্রমিক।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, জয়নাল, রফিক ও জিহাদ তিনজনে পালাক্রমে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোন সেটে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
ধর্ষণের পর যুবকরা তাকে ঘটনা গোপন রাখার আদেশ দিয়ে জানায়, ঘটনা প্রকাশ করলে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, রবিবার রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রফিক ও জিহাদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং সোমবার দুপুরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজী হলে বেলা দেড়টায় তাদেরকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত তাদেরকে আরো ভাবনা-চিন্তা করার জন্যে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় দেন। সন্ধ্যার পর থেকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম তার খাস কামরায় রফিক ও জিহাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্র : কালের কন্ঠ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।