জুমবাংলা ডেস্ক: কৃষক প্রদীপ কুমার দাস মিন্টু গোয়াইনঘাটে বারী-১২ জাতের বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। উর্বর মাটি এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য জাতের বেগুন চাষ হলেও বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ কোথাও হয়নি। তাকে দেখে অনেক কৃষক এ জাতের বেগুন চাষ আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাটের আলীরগ্রামের বাসিন্দা কৃষক প্রদীপ কুমার দাস মিন্টু। তিনি তার বাবার কাছ থেকে কৃষি কাজ শিখেন। তিনি ইউটিউব দেখে শখের বসে বারি-১২ জাতের বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। পরে তিনি তার বন্ধুর সাহায্যে বারি-১২ জাতের বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন। তিনি ৪ শতক জমিতে বারি-১২ বেগুন চাষ করেছেন। ফলন ভালো পেয়েছেন। প্রতিটি গাছেই ৬-৭টি এসব বড় বড় বেগুন ধরে মাটি পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে। প্রতিটি বেগুন প্রায় ১ কেজি ওজন। তার গাছে যে পরিমাণ বেগুন ও ফুল আছে তাতে আসন্ন রমজান মাসে বাড়তি প্রচুর টাকা আয় হতে পারে বলে আশা করছেন। তিনি এক মাসে এ পর্যন্ত ৪০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় এসেছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গোয়াইনঘাটে মাটি উর্বর থাকায় বারি-১২ বেগুন ফলন ভালো হয়েছে এবং চাষও লাভজনক। আলীরগ্রামে কৃষক মিন্টুর রোপিত বাগানে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চাষে পোকার আক্র’মণ কম এবং ক্ষতিসাধিত হয়ে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাটের কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। বিনামূল্যে সার, বীজ প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ সব কিছু দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। ফসল উৎপাদন ও সর্বোপরি কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সেবার মানসিকতা নিয়ে পাশে আছে। বারী-১২ জাতের বেগুন চাষের একটি ইতিবাচক সংবাদ গোটা উপজেলার কৃষির জন্য একটি ভালো খবর।
দাম নেই, বিক্রির জন্য ট্রলার ভর্তি তরমুজ আনলেও ফেলা হচ্ছে নদীতে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।