জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় বাসা থেকে চুরি যাওয়া শিশু মরিয়মকে (২) সাত দিন পর লক্ষ্মীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশু চুরির দায়ে মুন্নি আক্তার (২৩) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৮নং উছাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউগঞ্জ এলাকা থেকে প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বেগমগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও আসামি মুন্নি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুন্নি ঝাউগঞ্জের মো. কামাল হোসেনের স্ত্রী।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর থানার চাঁদখালী গ্রামের আজিজ সরদারবাড়ির মো. রাকিব হোসেন চাটখিল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি রিকশা চালিয়ে এবং স্ত্রী রোমানা বাসাবাড়িতে ঝির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
গত ১৯ অক্টোবর সকালে রোমানা তার দুই বছরের শিশু মরিয়মকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মুন্নি আক্তারের কাছে রেখে কাজে যান। এই সুযোগে মুন্নি ওই শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাসায় এসে মেয়েকে না পেয়ে ১৯ অক্টোবর চাটখিল থানায় অপহরণের মামলা করেন মো. রাকিব।
পুলিশ সুপার বলেন, মামলাটির কোনো ক্লু ছিল না। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর প্রযুক্তির সহায়তায় সাত দিনের মাথায় শিশু মরিয়মকে আসামির বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পর মা-বাবার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে।
থানায় উপস্থিত শিশু মরিয়মের বাবা-মা আদরের সন্তানকে ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানান।
শিশুটির মা রোমানা বলেন, আমার সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি, আর কিছু চাই না। ভবিষ্যতে এভাবে কারও কাছে সন্তান রেখে যাবেন না বলেও জানান তিনি। রাকিব হোসেন মেয়েকে ফিরে পেয়ে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।