জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারণা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে এসব ওষুধ চুরি করার পর বিক্রি করতে না পেরে অথবা ধরা পড়ার ভয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (স্যাকমো) সিনিগ্ধা রায় এ কাজ করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেটের পাতা ও সিরাপভর্তি বোতল রোববার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে সোমবার এসব ওষুধ সরিয়ে ফেলা হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী দেখার ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। এরপর ওই ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে ওষুধ চাইলে কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (স্যাকমো) সিনিগ্ধা রায় ওষুধগুলো তাদের সংগ্রহে নেই বলে রোগীদের জানিয়ে দেন। বাইরে থেকে কিনে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে তার হাতে টাকা দিলে তিনি স্টোর থেকে ওষুধ এনে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ওষুধ রোগীদের সরবরাহ না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গোপন একটি জায়গায় তা জমা করা হয়। মাস খানেক পর অনেক ওষুধ জমা হয়ে গেলে তা বাইরে বিক্রি করা হয়। আবার অনেক সময় হাসপাতালে রোগীদের কাছে হাসপাতালের ওষুধ বিক্রি করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে বিনামূল্যে প্যারাসিটামল আর স্যালাইন রোগীদের সরবরাহ করা হতো ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত অভিযুক্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (স্যাকমো) সিনিগ্ধা রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওষুধ বিক্রির যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। যেসব ওষুধ কেন্দ্রের পাশে পড়ে ছিল তা মেয়াদোত্তীর্ণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সব ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই আয়াকে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলতে বলা হয়েছিল। কিন্ত আয়া তা না পুড়িয়ে বাইরে ফেলেছিল।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লাহ জানান, কোনো ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ধ্বংসের দায়িত্ব তাদের নয়। কর্তৃপক্ষকে তারা কিছুই জানাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।