আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইনের যুক্তি দিয়ে নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি চালানোর বিষয়টিকে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ভারত সরকার।
২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি. কিশান রেড্ডি বলেন, ‘নির্দিষ্ট সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা বা তদন্তকারী সংস্থা আইন মেনে এই নজরদারির কাজটি করতে পারে। দেশ ও নাগরিকের নিরাপত্তার স্বার্থে নজরদারি করা হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেইসবুক মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার, ভাইবার, গুগলের যাবতীয় চ্যাট, ফোনকল, মেসেজের ওপর।’
সম্প্রতি ভারতের বুদ্ধিজীবীদের হোয়াটসঅ্যাপে বিশেষ একটি সফটওয়্যার দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। মে মাস পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই নজরদারির চেষ্টা চালানো হয়। পরে জানা যায় ওই সফটওয়্যার ভারত সরকার ইসরায়েলের কাছ থেকে কেনে।
ভারত সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট সরকারি এজেন্সি যে কোনও কম্পিউটারের যে-কোনও তথ্য মনিটর ও ডিক্রিপ্ট করতে পারে। তবে ইসরায়েলি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা এনএসও থেকে পেগাস্যাস সফটওয়্যার কিনে সরকার এই কাজটি ভারতের সাইবার এজেন্সিগুলোকে দিয়ে করাচ্ছে কি না সে প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।