স্পোর্টস ডেস্ক : ৭৯ দিন পরই কাতারে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। আরব দেশে প্রথমবারের মতো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো’ উপভোগ করতে এই অঞ্চলের মানুষের জল্পনার শেষ নেই। ইউরোপ-আমেরিকার বুকে বিশ্বকাপ হলে এখানে রাতের ঘুম হারাম করেই বসতে হয় টিভি সেটের সামনে। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় বদলে গেছে শিডিউল-উইন্ডো। জুন-জুলাইয়ের জায়গায় এবার শীতের চাদর জড়িয়েই দেখতে হবে মেগা ইভেন্টটি।
২০ নভেম্বর থেকে শুরু মূল আসর। তার আগেই বিশ্বকাপের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল আঙিনায়। ক্লাব ফুটবলের মাঝেই চলছে কাতারের মহড়া। তাই ফুটবলবোদ্ধাদের চোখও সরছে না তারকাদের ওপর থেকে। দুই দর্শকনন্দিত দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এবারের আসরের দারুণ ফেভারিট। তাদেরই বড় দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার খেলছেন একই ক্লাব পিএসজিতে। দু’জনই বিশ্বকাপের আগে আছেন ফর্মে।
শুধু নেইমার-মেসি নন, দুই দলের আক্রমণভাগের আরও দুই সারথি গাব্রিয়েল জেসুস ও জুলিয়ান আলভারেজও দেখাচ্ছেন চমক। যাঁদের ডানায় এবার বিশ্বকাপের স্বপ্ন ওড়াতে চায় লাতিনের দুই দেশ।
বছরখানেক আগেও যে নেইমারকে নিয়ে হতো নানা কথা, নিন্দুকের বন্দুক তাক করা থাকত তাঁর দিকেই। বছর কেন, গত মৌসুমেও নেইমার সয়েছেন অনেক যাতনা। চোটের সঙ্গে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কের কারণে খোদ পিএসজিও মুখ ফিরিয়ে নেয়। গুঞ্জন ওঠে, গ্রীষ্মের দলবদলে নেইমারকে বেচে দেওয়ার। সেখান থেকে ভিন্ন এক নেইমারের দেখা পেল পিএসজি। নতুন মৌসুমে নতুন কোচ আর পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো ফরাসি ক্লাবটির গোলমেশিন হয়ে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের শেষ ১০ ম্যাচেই করেছেন ডজনখানেক গোল। সঙ্গে হাফ ডজন অ্যাসিস্টও।
এমন নেইমারকেই তো চেয়েছিল পিএসজি। শুধু পিএসজি নয়, ব্রাজিলও বিশ্বকাপের আগে নেইমারের চেনা ছন্দে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। বুধবার রাতে তুলুজের জালেও বল পাঠান তিনি।
পিছিয়ে নেই মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে এবার নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। আর শেষটা মধুর হোক, সেটাই চাইবেন মেসি। পিএসজিতে গিয়ে আক্রমণভাগের মূল সারথি হতে না পারলেও নেইমার-এমবাপ্পের পথটা অনেকটাই চিনে ফেলেছেন। মাঝেমধ্যে গোল করে ঝলকও দেখাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করাচ্ছেন গোল, সাজিয়ে দিচ্ছেন চমৎকার সব আক্রমণ।
মেসির সাম্প্রতিক ফর্ম সেই কথাই বলবে। গত মৌসুমে বার্সা ছেড়ে প্যারিসে যাওয়ার পর যতটা না লড়াই করতে হয়েছিল তাঁকে, এবার মৌসুমের শুরুর দিকে তার চেয়ে অনেক কমই লড়ছেন। গোল পেতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না। নিজের শেষ ১০ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল, সঙ্গে চার অ্যাসিস্ট; যার দুটি আবার বুধবার রাতে তুলুজের বিপক্ষে। যেখানে পিএসজি জয় পায় ৩-০ গোলে। মেসি গোল করান নেইমার ও এমবাপ্পেকে দিয়ে। দুই দেশের দুই বড় তারকার মাঝে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন আরও দু’জন- জেসুস ও আলভারেজ। দল বদলে দু’জনই এখন ইউরোজুড়ে আলোচনায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।