আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর রিতু সিংকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অধ্যাপকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গেটসংলগ্ন ফুটপাতেই পাকোড়া (একধরনের পেঁয়াজু) বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সোমবার ওয়ান-ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই দৌলত রাম কলেজে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন ২৮ বছর বয়সী ডক্টর রিতু সিং। কিন্তু নিয়োগের এক বছরের মধ্যেই ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ভারতের একটি দলিত সম্প্রদায়ের হওয়ায় চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন রিতু।
এই বরখাস্তের প্রতিবাদে ইতিপূর্বে ১৯২ দিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিলেন রিতু সিং। কিন্তু অর্থকষ্টে শেষ পর্যন্ত তিনি পেঁয়াজু বিক্রি শুরু করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির বাইরেই তাঁর পেঁয়াজু বিক্রির স্টল। এই স্টলের নাম দিয়েছেন তিনি ‘পিএইচডি পাকোড়া ওয়ালি’। কিন্তু এখানেও বাধাপ্রাপ্ত হলেন সাবেক অধ্যাপক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ডক্টর রিতু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইপিসি ২৮৩ ধারায় রাস্তায় বাধা সৃষ্টির একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিল্লির মরিসনগর থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে রিতু সিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে জমি জবরদখলেরও অভিযোগ এনেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রিতুকে পাকোড়ার স্টল সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিতুর অভিযোগ, চাকরি থেকে তাঁকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক বছর অধ্যাপনার পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। রিতু সিং বলেন, ‘আমার কোনো চাকরি নেই। তাই রুটি রোজগারের জন্যই আমি পাকোড়া বিক্রি করতে রাস্তায় নেমেছি। যে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আমার ডিগ্রি দিয়েছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই পাকোড়ার দোকান দিয়েছি পেটের ভাত জোগাড়ের জন্য।’
রিতু আরও অভিযোগ করেন, নিজের বিরুদ্ধে হওয়া অবিচারের প্রতিবাদে বিভিন্নভাবে তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা হয়েছে। পেঁয়াজু বিক্রিকেও প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দাবি করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।