জুমবাংলা ডেস্ক : কনে বাড়িতে চলছিল বিয়েল ধুমধাম। সব আয়োজন সম্পন্ন। কনেকেও সাজানো হয় নববধূর বেশে। দিনভর অপেক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসেননি বর।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে। এতে এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তরুণীর মা জিন্নতের নেছা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে বর আলী আহাম্মদ, তার বাবা আইয়ুব আলী, বোন নাসরিন আক্তার ও মা ছালেহা বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সেলিম মিয়া নামের এক ঘটকের মাধ্যমে উপজেলার কাছিয়াপুস্করণী গ্রামের আইয়ুব আলী ও ছালেহা বেগম তাদের ছেলে আলী আহাম্মদের জন্য কোমাল্লা গ্রামের মৃত আমির হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কনের বাড়িতে বিয়ে হওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়। এতে আলী আহাম্মদ বর সেজে কোমাল্লা গ্রামে ওই তরুণীর বাড়িতে তাকে নববধূ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
উভয়পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়েতে মোহরানা সাড়ে তিন লাখ টাকা ও দেড় লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কারও ধার্য করা হয়।
বিয়ে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কনে পক্ষ সব আয়োজন শেষ করে। আমন্ত্রিত অতিথিরা খাওয়া শেষে বরের লোকজনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরও তারা আসেনি।
মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক, ছেলে ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে কল করলে তারা আসবে বলে জানান।
এ ঘটনা শুনে নববধূ অজ্ঞান হয়ে যান মেয়েটি। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ গণমাধ্যমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



