জুমবাংলা ডেস্ক : ওয়ারিশ সনদের ফটোকপিতে জীবিত মরিয়ম বিবিকে মৃত দেখিয়ে জালিয়াতি করে তার কোটি টাকার সম্পদ নিজেদের নামে করে নিয়েছে সতীনের ঘরের সন্তানরা। নিজের সম্পদ ফিরে পেতে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি এখন পরের বাড়িতে আশ্রয়ে রয়েছেন। মরিয়ম বিবি বেনাপোল থানার কাগজ পুকুর গ্রামের মৃত টেনাই মোড়লের স্ত্রী।
জানা গেছে, টেনাই মোড়লের ছিল ৩ স্ত্রী। তিনি জীবিত থাকাবস্থায় ২ স্ত্রীর মৃত্যু হলে মরিয়ম বিবিকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তার মৃত্যু হয়। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৪ ছেলেমেয়ে থাকলেও শেষের ২য় স্ত্রীর ঘরে কোনো সন্তান ছিল না। টেনাই মোড়লের মৃত্যুর কয়েকদিন পর সতীনের ঘরের সন্তানরা তার ৩য় স্ত্রী মরিয়ম বিবিকে স্বামীর ভিটেবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পাশ্ববর্তী এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়িতে তার আশ্রয় হয়। টেনাই মোড়লের সন্তানরা ২০১২ সালে বেনাপোল পৌরসভা থেকে একটি ওয়ারিশ সনদ নেন। মূল ওয়ারিশ সনদ ফটোকপি করে মরিয়ম বিবির নামের আগে মৃত লিখে তা আবার ফটোকপি করে। আর এই ওয়ারিশ সনদ নিয়ে তারা মরিয়ম বিবির সব সম্পদ নামজারি করে ফেলে।
এদিকে বেনাপোল পৌরভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ঘটনাটি জানতে পেরে মরিয়ম বিবি জীবিত রয়েছে বলে প্রত্যয়নপত্র দেন। মরিমম বিবি সনদসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। আইনজীবি বছর দুয়েকের মধ্যে তার জমি ফেরত পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
সতীনের সন্তানদের হুমকি-ধামকিতে তিনি আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন। শুধু মরিয়ম বিবি নয়, আশ্রয়দাতা ও আইনি কাজে সহায়তা দানকারী স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল জলিলকেও হুমকি দিচ্ছে তারা।
আবদুল জলিল বলেন, মরিয়ম বিবির দলিল প্রমাণাদি দেখে ২০১৯ সালে আদালত তার পক্ষে রায় দেন। তার সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ আসে। কিন্তু সতীনের ছেলেরা তা দেয়নি। বৃদ্ধা মরিয়ম বিবি এখন অর্থাভাবে নিজের খাবার যোগাড় করতেও পারছেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।