জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বেরোবি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টায় দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহি হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেডিংপত্র নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। কেউ রিকশা, আবার কেউ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
খাইরুল নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে থাকার ইচ্ছা ছিলো, এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।
জোবায়ের নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল বিকাল থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা ফোন করছে। রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। সকালে বাড়ি যাচ্ছি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কমোড়, মর্ডান মোড় ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে বেরোবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গ মিছিলে অংশ নেন আবু সাঈদ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, আবু সাঈদ এই আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। এ কারণে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
দুপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। তখন ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই সংঘর্ষে মিছিলের সামনে থেকে বুক পেতে দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেরোবি, ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।