ব্রিটিশ স্টার্টআপ বেলওয়েদার ইন্ডাস্ট্রিজ সম্প্রতি তার ফিউচারিস্টিক ফ্লাইং কার প্রোটোটাইপের প্রথম টেস্ট ফ্লাইটের ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যা অটোভেহিকেলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয় যেখানে উড়ন্ত গাড়ি শহরের আকাশে উড়তে পারে। এটির প্রয়োজনীয়তা অনেক কারণ বিশেষজ্ঞরা শহুরে জীবনযাত্রার বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের দিকে নজর দিচ্ছেন। বর্তমান সময়ের এর তুলনায় 2050 সালের মধ্যে আনুমানিক 70% মানুষ শহরে বসবাস করবে। এই বর্ধিত জনসংখ্যা শহরের রাস্তায় ক্রমবর্ধমান যানজটের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। যার ফলে দীর্ঘ যাতায়াত, ট্র্যাফিক দুর্ঘটনার মত ঘটনা বেড়ে যাবে।
বেলওয়েদার এবং অন্যান্য সংস্থা এই চ্যালেঞ্জগুলির সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে উড়ন্ত গাড়ি ও বিশেষত বৈদ্যুতিক ভাটিকাল টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং (eVTOL) টেকনোলোজিতে আস্থা রাখছে৷ ট্র্যাডিশনাল গাড়ির বিপরীতে, eVTOLব্যাটারি চালিত এবং হেলিকপ্টারের মতো ভাটিকাল টেকঅফ এবং অবতরণ করতে সক্ষম। রানওয়ের প্রয়োজনীয়তার অনুপস্থিতি এই যানবাহনকে ছাদ, পার্কিং গ্যারেজ এবং এমনকি ড্রাইভওয়ে থেকে চালানোর সুযোগ করে দেয়। রাস্তায় চাপ না বাড়িয়ে বা CO2-এর মতো ক্ষতিকারক দূষক নির্গত না করে কার্যকরভাবে শহরের বিভিন্ন অংশে মানুষ পরিবহন করে।
কোম্পানীর লক্ষ্য 2028 সালের মধ্যে বাজারে ভোলার নামক ফ্লাইং কারকে বাজারে নিয়ে আসা। বর্তমানে, বেলওয়েদার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে যেখানে “অ্যান্টেলোপ” নামক একটি প্রোটোটাইপের ফ্লাইট প্রদর্শন করা হয়েছে। যদিও অ্যান্টিলোপ শুধুমাত্র 13 ফুট উচ্চতায় এবং 25 মাইল প্রতি ঘন্টার গতিতে পৌঁছাতে পারে। তবে ভোলার গাড়ি চার বা পাঁচজন ব্যক্তিকে ভেতরে বসাতে পারে ও সর্বোচ্চ 3,000 ফুট উচ্চতায় এটি পৌঁছাতে পারে। গাড়িটি 135 মাইল প্রতি ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতি অর্জন করতে পারে।
এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের মাধ্যমে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও, বেলওয়েদার এবং অন্যান্য eVTOL নির্মাতারা তাদের শহুরে পরিবহনের বর্তমান সিস্টেম পরিবর্তন করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া এবং এই যানবাহনের জন্য আকাশসীমার ব্যবস্থাপনা সহ বেশকিছু বাধা অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে। উড়ন্ত গাড়ির ব্যাপক গ্রহণের জন্য জনগণের বিশ্বাস এবং গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।