সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ৪৫ কোটি টাকার সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ অর্থ পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের আচরণে ভারত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ সেপ্টেম্বর জানান যে পাকিস্তানকে এ ধরনের সহায়তা দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। এর আগে দেশটির আরেক মন্ত্রী রাজনাথ সিং যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেট প্রাইস ভারতের প্রতিক্রিয়ার কঠোর জবাব দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের মতো পাকিস্তানও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ।
ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া বিধি নিষেধকে সমর্থন করেনি ভারত। যুদ্ধের সময় ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে জ্বালানি ক্রয় করেছে। এ সময় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।
পাকিস্তানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি F-16 যুদ্ধবিমান রয়েছে। অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমানের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লি আশঙ্কা করছে যে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান এ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করতে পারে।
পাকিস্তান যখন বন্যায় আক্রান্ত ঠিক তখনই বাইডেন প্রশাসন দেশটিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন। দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য মার্কিন বিমান ব্যবহার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের জন্য আলাদাভাবে তিন কোটি ডলার অর্থ সহায়তা বরাদ্দ করেছে বাইডেন প্রশাসন। অন্যদিকে জাতিসংঘ পাকিস্তানের বন্যায় সাহায্য করার জন্য যে ১৬ কোটি ডলারের অর্থ প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছিল সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছিল।
ভারত মনে করে যে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদ এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে নয়াদিল্লিকে শাস্তি দিতে চাইছে। এ বিষয় নিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা চলছে।
ভারতের অনেক মিডিয়া জানিয়েছে যে সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে পাকিস্তানে সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকার কোন সমস্যা নেই।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম মনে করে যে ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নয়াদিল্লিকে ছেড়ে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।