আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের লাদাখে চীনা সেনার অনুপ্রবেশের যাবতীয় নথি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। মঙ্গলবার( ৪ আগস্ট) ওই নথি ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারই তা উধাও হয়ে যায়।
ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটে ওই নথির শিরোনাম ছিল ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চীনা আগ্রাসন।’ তাতে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের ৫ মে থেকে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানসহ এলএসি বরাবর চীনা সেনা হানা দেয়। ওই মাসের ১৭-১৮ তারিখে তারা কুংরং নালা, প্যাংগং লেকের উত্তর ধার ও গোগরায় এলএসি অতিক্রম করে।
সেই থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দুই পক্ষেরই হতাহত হওয়া, কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক, কূটনৈতিক আলোচনা, সেনা অপসারণ, সেনা সংখ্যা হ্রাসের প্রসঙ্গও ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছিল। চীনের একতরফা অনুপ্রবেশের ফলে স্পর্শকাতরতার সৃষ্টি হওয়ার প্রসঙ্গও নথিতে ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই সেই নথি বা তথ্যাদি ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। লিংকটাও অকেজো হয়ে রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে সংবাদ সংস্থা জানায়, ওই কাজ তাঁরা করেননি।
গলওয়ান সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, চীনা সৈন্যরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে আসেনি। ভারতীয় কোনো ঘাঁটিও তারা দখল করে রাখেনি। মোদির ওই মন্তব্য নিয়ে বিপুল হইচই হয়। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, চীনা ফৌজ অনুপ্রবেশকারী না হলে ভারতীয় জওয়ানরা মারা গেলেন কি করে? তা হলে কি ধরে নিতে হবে সংঘর্ষ চীনের সীমানায় হয়েছে? মোদির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে চীনও জানায়, তারা সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে স্বীকৃতি দিতেই কি তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি নথি থেকে চীনা অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ মুছে দেওয়া হলো—এমন প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।