আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১২৯ বছর আগে শেষ দেখা গিয়েছিল। ধরেই নেওয়া হয়েছিল বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এই প্রজাতির সাপ। কিন্তু অরুণাচলের দেরাদুনের ‘ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার’ একদল গবেষক ফের দেখা পেলেন অসম কিলব্যাক প্রজাতির সাপের। ১৮৯১ সালে প্রথম ‘অসম কিলব্যাক’ সাপের দেখা পান ব্রিটিশ চা-ব্যবসায়ী স্যামুয়েল এডওয়ার্ড পিল।
অসমের শিবসাগর থেকে দু’টি পুরুষ সাপ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। একটি রাখা হয় কলকাতার ‘জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায়, অন্যটি পাঠানো হয় লন্ডনের ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে। তারপর থেকে আর ‘হেবিয়াস পিয়েলি’ প্রজাতির এই সাপের দেখা মেলেনি। ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে হঠ্যাৎ দেখা মিলল সাপটির, অসম-অরুণাচল সীমান্তের কাছে। ১২৭ বছরের ব্যবধানে এক বাঙালি চিত্রগ্রাহক তথা পশুপ্রেমীর ক্যামেরায় ধরা দিয়েছিল অসম কিলব্যাক। যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘হার্পেটোরিয়াস পিলি’।
ডব্লিউআইআই-এর একটি দল ‘অবর অভিযান’-এর পথ ধরে ইতিহাস ফিরে দেখার অভিযানে বেরিয়েছিল। আর সেই পথেই দেখা মিললো এই সাপের। পোবার ঝোপঝাড়ে ভরা জলাভূমিতেই মিলল এই সাপ, যা ১২৯ বছরে দেখা যায়নি!’ শুধুমাত্র অসমে, একটিবার দেখা মেলায় ওই সাপটির চলতি নাম দেওয়া হয়, ‘অসম কিলব্যাক’।
সাপটির দেহের উপরের অংশ গাঢ় বাদামি, নীচের অংশ ফ্যাকাসে। সংগৃহীত হয় ডিএনএ-র লন্ডন থেকে তথ্য পাওয়ার পর ডিএনএ প্রোফাইলিং করে অভিজিৎ নিশ্চিত হন, ‘অসম কিলব্যাক’ ফিরে এসেছে! ২৬ জুন জার্মানির ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ‘ভার্টিব্রেট জুলজি’তে প্রকাশিত হয় অভিজিতের এই পুনরাবিষ্কারের কাহিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।