জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্গাপূজাকে ঘিরে ভারতে বাড়ে পদ্মার ইলিশের চাহিদা। বিশেষ করে বাঙালি রন্ধনশালার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এর সুবাস। যদিও বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানিতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেজন্য ভারতের বাজারে ইলিশের দাম এখন আকাশচুম্বী। যদিও পাচার বন্ধে সোচ্চার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ভারতীয় জাতের চেয়ে সেদেশে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ সুস্বাদু বলে বিবেচিত হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বরের ওই প্রতিবেদন বলছে, গত বছর দুর্গাপূজার আগে চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠিয়েছিল শেখ হাসিনার স্বৈর-সরকার। এ বছর দুর্গাপূজার আগেই ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে তারা। যদিও ইলিশপ্রেমী ভারতীয়রা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উপায় খুঁজতে শুরু করেছে।
ইন্ডিয়া টুডের তথ্যের বরাতে ভারতীয় আরেকটি গণমাধ্যম মিনট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে ইলিশের দাম এখন আকাশচুম্বী। কয়েকমাসের ব্যবধানে বেড়েছে সাড়ে ৫০০ টাকার বেশি। দিল্লির সিআর অংশের খুচরা বিক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে এক কেজি থেকে এক কেজি ৩০০ গ্রামের ওজনের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি দুই হাজার দুইশ রুপি থেকে দুই হাজার ৪০০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন হাজার ৪২০ টাকা)। কয়েক মাস আগে এটি ছিল এক হাজার ৮০০ রুপি থেকে দুই হাজার রুপি (দুই হাজার ৮৫০টাকা)। সে হিসেবে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে ৫৭০ টাকা।
এদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, এদেশ থেকে ইলিশ পাচার বন্ধে সোচ্চার রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। যদিও পাচারের চেষ্টা চলছে সীমান্ত দিয়ে। এর প্রমাণ মিলছে, প্রায়ই ইলিশ জব্দের ঘটনায়।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শশীদল এলাকার মনোরা নামক স্থান থেকে ৪৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে বিজিবির নিয়ম অনুযায়ী মাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নও (৬০ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এর আগে গত বুধবার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা (আনন্দপুর) থেকে ৬২০ কেজি ইলিশ জব্দ করে বিজিবির একটি দল।
এ ছাড়া গত ২৫ আগস্ট এ জেলার মাটিরাবন সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি জওয়ানরা আরেকটি ইলিশের চালান জব্দ করেন। ৩১ আগস্ট জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৪৬ কেজি ইলিশ জব্দ করে বিজিবি। উপজেলার লাউড়েরগড়ের শাহিদাবাদ এলাকায় এ ইলিশ জব্দ করা হয়।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির গত ১২ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু ১৫ দিনে তিনটি ইলিশের চালান আটক হয়েছে, তাহলে ধরেই নিতে হবে এ সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। ১৯টি ফাঁড়িকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বিজিবির ৪৮ (সিলেট) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান রোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।