জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে সরকার।সেখানে এক লক্ষ মানুষের পর্যাপ্ত আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে করোনভাইরাসের কারণে যদি কোন দরিদ্র মানুষ ভাসানচরে গিয়ে আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের এই সুবিধা নিতে চায় তাহলে তারা সেখানে যেতে পারবে। এমনটাই জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ বিকালে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, এসময়ে যদি কোনও দরিদ্র পরিবার নিজেদেরকে ভাসনচরে নিয়ে গিয়ে সরকার প্রদত্ত এই আবাসন ব্যবস্থা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ নিতে চায় সেজন্য এটি ওপেন করে দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে জেলাপ্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা ভাবছে সরকার। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তির কারণেই মূলত সরকার রোহিঙ্গাদের আপাতত সেখানে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা ও বৈষম্য বন্ধে গত ২৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে সরকার সমালোচনার মুখে পড়তে চায় না।
এদিকে সরকার করোনভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই এ সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন যাপনে অক্ষম হলে সরকার তাদের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।