প্রবাস ডেস্ক: ভিয়েতনামের হ্যানয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ উপলক্ষে ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় আর্মি হাসপাতালে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
মিজ সামিনা নাজ নিজে রক্তদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচীর সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মচারী ও বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট চং দোসহ ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে ভিয়েতনামের আর্মি হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, ‘রক্তদান একটি মহৎ ও মানবিক কাজ। এ কাজে এগিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেমন আরও গভীর হবে, তেমনি স্বেচ্ছায় সংগৃহীত রক্ত অনেক পীড়িত ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করবে।’
রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ গঠনে যে অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ও অবদান রেখেছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান করে বাংলাদেশ দূতাবাস এই মহান নেতার প্রতি তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে। এই কর্মসূচী বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি নিদর্শন হিসেবে থাকবে।’
রক্তদান কর্মসূচী শেষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মুজিব বর্ষের লগো সম্বলিত স্যুভেনির মগ উপহার দেয়া হয় এবং আপ্যায়ন করা হয়।
এর আগে চ্যান্সারী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনার সূত্রপাত করেন ।
বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
মিজ সামিনা নাজ বলেন, `জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ১২ বছরে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপর কারণে ইতোমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, রাষ্ট্রদূত সে বিষয়েও আলোকপাত করেন ।
তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০৩০ সালের মধ্যে ’টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।