জুমবাংলা ডেস্ক: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামে ভুট্টার সঙ্গে আলু, পেঁয়াজ ও ধনিয়া চাষ হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মাসুক আহমেদ বাড়ির পাশে প্রায় ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার সাথী ফসল হিসেবে এই তিনটি ফসল আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মাসুক আহমেদ জানান, তিনি শিক্ষকতা করেন। অবসরে তিনি জমি চাষাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ির পাশে প্রায় ২ বিঘা জমিতে ফসল চাষের জন্য উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লক থেকে পরামর্শ নেন তিনি। কৃষি ব্লকের পরামর্শে তিনি জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভুট্টা প্রদর্শনী করেন। পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ ও ধনিয়ার চাষ করেন। ধনিয়া, আলু ও পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হয়েছে ভুট্টারও। খেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। এই কাজে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এখান থেকে লাখ টাকার বেশি ফসল পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, তাদের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা অল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য ফসলের পাশাপাশি এ ফসলটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। উন্নত জাতের ভুট্টায় প্রতি হেক্টরে প্রায় ৯ মেট্রিক টন ফলন পাওয়ার আশা রয়েছে। বাজারেও খাদ্যপণ্যটির দাম ভালো রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে ফসলটির।
বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে ভুট্টার রেকর্ড পরিমাণ চাষ হয়েছে এ ব্লকে। এখানে শিক্ষক মাসুক আহমেদকে পরামর্শ দিলে তিনি জমি আবাদ করে প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভুট্টার বীজ রোপণ করেন। ভুট্টার ফাঁকে ফাঁকে রোপণ করেন পেঁয়াজ, আলু ও ধনিয়া। চমৎকার ফলন পেয়ে তিনি আনন্দিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার জমিতে আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টার রোগবালাই দমনে মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।