ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি, ভেজা চুলে ঘুমালে চুলের আগা ফেটে যায়। এ ছাড়া নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই আছেন, যাঁদের রাতে মাথা ভিজিয়ে গোসল করার প্রয়োজন হয় এবং চুল না শুকিয়ে ঘুমাতে যান। এতে আসলেই চুলের ক্ষতি হয়। তবে ভেজা চুলে ঘুমিয়েও এই ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।
ভারতের সেলিব্রিটি হেয়ার এক্সপার্ট দিব্যা সাবানাগম ও অঞ্জলি মার্চেন্ট সম্প্রতি ভোগ ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ভেজা’ চুলে ঘুমানোর আসল উপায় বাতলে দেন। তাঁরা জানান, তাঁদের কাছে যখন কেউ কোনো ট্রিটমেন্ট নিতে আসেন, তাঁদের সবারই একটা সাধারণ প্রশ্ন থাকে। সেটা হলো, ‘ভেজা চুলে ঘুমানো যাবে কি না?’ দিব্যা বলেন, ‘ঘুমের সময় চুল কিছুটা স্যাঁতসেঁতে বা হালকা ভেজা থাকতে পারে। তবে পুরোপুরি ভেজা রাখা যাবে না।’
পুরোপুরি ভেজা চুলে ঘুমালে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। এতে সহজেই চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পায়। আর ঘুম থেকে উঠে ভেজা চুল আঁচড়ালে জট বেঁধে যায়। এ কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অঞ্জলি বলেন, ‘গোসল করার পর সম্ভব হলে চুল হেয়ারড্রায়ার দিয়ে অন্তত ৭০ শতাংশ শুকিয়ে নিতে হবে। বাকি ৩০ শতাংশ বাতাসে শুকিয়ে নিলেও হবে। আবার না শুকালেও খুব একটা সমস্যা নেই।’ তবে হেয়ারড্রায়ার ব্যবহারের সময় অবশ্যই কোল্ড অপশন ব্যবহার করতে হবে।
দিব্যা ও অঞ্জলি বালিশের কভারের প্রতিও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। বালিশের সুতি কভারে চুল সহজে জট বাঁধিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া চুলের আগা ফাটার সমস্যাটাও এ ধরনের কভারের জন্য হতে পারে। চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারী বালিশের সিল্ক কভার। সিল্ক কভারে ঘুমালে চুলে জট বাঁধে না এবং চুল ভঙ্গুর করে ফেলে না।
অনেকে ভাবেন, ভেজা চুলে ঘুমালে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এটা আসলে ভুল ধারণা। ঠান্ডা লাগে সাধারণত ভাইরাসের কারণে। তবে ভেজা চুলে ঘুমালে চুলে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে, যা পরে পুরো মাথায় পড়তে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে ভয়ানক খুশকির সমস্যা। এ সমস্যা এড়ানোর জন্য সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার ধোয়ার পরামর্শ দেন দিব্যা ও অঞ্জলি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।