জুমবাংলা ডেস্ক: ভোলার উপর দিয়ে শুক্রবার রাতে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণির’ তাণ্ডবে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এছাড়া জেলায় জুড়ে অন্তত আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর ইউএনবি’র।
জেলার মধ্যে সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেঁতুলিয়া নদীর তীরের এই গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত রানী বেগমের স্বামী শামসুল হক জানান, রাতে ঘরের মধ্যে তিনি, স্ত্রী, ছেলে ও নাতিসহ ৬ জন অবস্থান করছিলেন। রাত ৩ টার দিকে ঝড় শুরু হয়। ভোর ৪ টার দিকে হঠাৎ করে তেঁতুলিযা নদী থেকে আলোর মতো ঘুনি বাতাস আসে। প্রায় এক মিনিট স্থায়ী এই বাতাসে তার ঘর ভেঙে পড়ে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রক্ষা পেলেও স্ত্রী রানি বেগমকে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এই ইউনিয়নের বটতলাসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর, গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এমনকি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। এ ছাড়া দৌলতখানের মদনপুর, মনপুরার কলাতলির চর, হাজির হাট, দাসের হাট, চরফ্যাসনের দুর্গম চরাঞ্চল, তজুমদ্দিন উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদসহ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলার সাগর মোহনার ইউনিয়ন ঢাল চরের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, তার এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে ৪২ পুকুরের মাছে ভেসে গেছে। এতে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিধ্বস্ত জনপদ পরিদর্শন করে ভোলা পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন জানান, যেসব পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি তাদের মধ্যে একটি পরিবারে এক নারী নিহত হয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। এদিকে দুপুরে কোড়ালিয়া গ্রামে ক্ষত্রিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়।
ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম স্বপন জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় দেড় শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমিকভাবে নিহতে পরিবারকে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পরবর্তীতে সহায়তা করা হবে বলে জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরির্দশন করে সাংবাদিকদের জানান, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পূর্বের চাইতে ভালো করে দেওয়া হবে। এছাড়া নিহত পরিবারকে তাৎক্ষনিক নগদ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।