জুমবাংলা ডেস্ক : মদ ব্যবসাকে ‘হালাল’ বলে তোপের মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। তার বিরুদ্ধে বিজয়নগরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে আলেম-ওলামাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ফেসবুক লাইভে মদকে মেডিসিন বলে মতামত ও মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করেন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
শনিবার বাদ জোহর উপজেলার চম্পকনগর বাজারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. রাসেল খান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ইলিয়াস সরকার, বর্তমান আহ্বায়ক হৃদয় আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানী রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে বর্তমান সামগ্রিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। একজন কমেন্টে তার কাছে জানতে চান তিনি ঢাকায় মদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা। এমপি হলে কি সেই ব্যবসা নিজের নির্বাচনি এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে কিনা। তার এমন কমেন্টের উত্তরে তিনি তার নিজের মদের ব্যবসার পক্ষে কথা বলেন। এ সময় তিনি মদকে হালাল ও মেডিসিন হিসেবে আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দেন। তার এমন বক্তব্যকে কুরআন অবমাননাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল বলে আখ্যায়িত করে আলেম সমাজ।
মুসল্লিরা বলেন, আমরা শুনেছি তিনি নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার জন্যে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। আমরা মনে করি, তার মতো ব্যক্তি যদি মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন, তাহলে পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান গড়ে উঠবে। মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সমাজে বিশৃঙ্খলা বাড়বে। আমরা এ ধরনের লোককে বিজয়নগরে সামাজিক এবং ধর্মীয়ভাবে বয়কটের ঘোষণা করছি। এ সময় তারা কুরআন অবমাননার দায়ে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পরে ওলিওকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলার চম্পকনগর বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ওলিও সবার মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার মতো কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি না তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আমি নির্বাচন করব শুনে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা কাল্পনিক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি মদকে হালাল বলিনি। আমি বলছি আমার ব্যবসা হালাল। আমি ব্যাংক, বিমা, বার, স্কুল-কলেজ, করপোরেট গ্রুপসহ অনেক ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এসব ব্যবসার নিয়মিত ট্যাক্স দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবসা করে থাকি। তাই আমার ব্যবসা অবৈধ হতে পারে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।