মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ প্রবল। অন্য যেকোনো গ্রহের তুলনায় বেশি। এর একটা কারণ হতে পারে, ভবিষ্যতে মানুষের মঙ্গলে বসতি স্থাপনের সম্ভাবনা। মঙ্গলে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ নভোচারী থেকে শুরু করে বড় বড় অনেক ব্যবসায়ী। তাই এ গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ আকাশচুম্বী হওয়াই স্বাভাবিক। সেই আগ্রহ থেকেই আজ জানার চেষ্টা করব, মঙ্গল গ্রহ আসলে কত বড়।
মঙ্গল গ্রহের ব্যাস প্রায় ৬ হাজার ৭৭৯ কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্যাস আসলে কতটুকু? পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করা যাক। পৃথিবীর ব্যাস ১২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার। সে হিসেবে মঙ্গল গ্রহকে প্রায় পৃথিবীর অর্ধেক বলা চলে। আসলে পৃথিবীর ৫৩ শতাংশ। মঙ্গলের ভর ৬.৪২ × ১০২৩ কিলোগ্রাম।
পৃথিবীর তুলনায় ১০ গুণ কম। ভর কম হওয়ার প্রভাব রয়েছে মঙ্গলের মহাকর্ষেও। গ্রহটির মহাকর্ষ বল পৃথিবীর প্রায় ৩৮ শতাংশ। ফলে পৃথিবীতে যদি আপনার ওজন হয় ৬০ কেজি, মঙ্গলে হবে ২২.৮ কেজি। (একদম সঠিকভাবে বললে ‘কেজি’র জায়গায় ‘নিউটন’ লিখতে হবে। কারণ, ওজনের একক নিউটন।)
এই গ্রহে পৃথিবীর হিসেবে ২৪.৫ ঘন্টায় এক দিন হয়। অর্থাৎ গ্রহটি নিজ অক্ষের ওপর ওই সময়ের মধ্যে একবার ঘুরে আসতে পারে। সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরতে সময় লাগে পৃথিবীর ৬৮৭ দিন।
তবে ব্যাস পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক হলেও মঙ্গলে রয়েছে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় পর্বত ও দীর্ঘতম গিরিখাত। এর কারণও ওই মহাকর্ষ। মহাকর্ষ দুর্বল বলেই পর্বত অত উঁচু হতে পারে।
সৌরজগতের সবচেয়ে উঁচু এই পর্বতের নাম অলিম্পাস মনস। উচ্চতা প্রায় ২৭ কিলোমিটার। মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও প্রায় তিন গুণ উঁচু। এটি সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যেও অন্যতম। এর ব্যাস প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো যতটা প্রশস্ত, অনেকটা তার সমান।
আরও আছে দীর্ঘতম গিরিখাত। নাম ভ্যালেস মেরিনারিস। এটি পৃথিবীতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হতো। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য মতে, এর দৈর্ঘ্য ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি, চওড়া প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ও গভীরতা ৮ কিলোমিটার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।