জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গুনটিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বিরুদ্ধে কু-চক্রী মহলের মিথ্যা অপ-প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিরা।
শুক্রবার (২৩ মে) জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষে মসজিদ কমিটির সহ- সভাপতি মো. আনিছুর রহমান তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি বলেন, গুনটিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকার একটি অন্যতম বড় মসজিদ। মসজিদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে গ্রামের সর্বস্থরের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে মসজিদের যাবতীয় কাজ করে আসছেন কমিটির নেতৃবৃন্দ। কিন্তু আগের কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মসজিদের আইপিএস’র ব্যাটারি নিজ বাসভবনে ব্যবহারের কারণেএলাকাবাসী প্রতিবাদ করেন। পরে কমিটির শোকজ এড়ানোর লক্ষ্যে অসুস্থতা দেখিয়ে সেক্রেটারির পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।
তার চাচাতো ভাই রফিকুল হুদাকে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি করা হলে টাকার বিনিময়ে এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের দিয়ে তাকে রাতে পদত্যাগের হুমকি প্রদান করেন। ভয়ে রফিকুল হুদাও পদত্যাগ করলে আলমগীর হোসেনের চাচা হিরু দারোগাকে কমিটি সেক্রেটারি নিযুক্ত করেন। এ কারনে আলমগীর হোসেন নিজের পদচ্যুতির অপমান সইতে না পেরে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
“হিন্দু পরিবারে জন্ম, এখন আমি আব্দুর রহমান”: জবি শিক্ষার্থীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণে হইচই
সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবের মাধ্যমে বর্তমান কমিটির সভাপতিসহ অনান্যদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মিমাংসার লক্ষ্যে তাকে একাধিকবার ডাকা হলে বিভিন্ন অজুহাতে তিনি এরিয়ে যান। সেই সাথে তিনি নানাভাবে মসজিদ কমিটির নামে বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গুনটিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ এলাকাবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।