কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানসিন্দুকে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। মিলেছে স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। করোনা পরিস্থিতিতে এবার পাঁচ মাস চারদিন পর খোলা হয় এসব দানসিন্দুক।
শনিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এদিন সকাল ১০টায় মসজিদের আটটি লোহার দানসিন্দুক খোলা হয়। দানসিন্দুকে এবার সবচেয়ে বেশি ১৪ বস্তা টাকা জমা হয়েছে।
টাকা গণনার কাজে অংশ নেন রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র, মসজিদের ইমাম-খাদেমসহ মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনা শেষ করা হয়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও এসব টাকা দেয়া হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট একই মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া যায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ১০৯ টাকা। পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করেন। টাকা ছাড়াও পাওয়া যায় চাল-ডাল, গবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।