মহাকাশযানে প্ল্যানেট নাইনে পৌঁছাতে কত বছর সময় লাগবে?

প্ল্যানেট নাইন

মানবজাতি নিশ্চিত হতে পারবে আসলেই সৌরজগতে নবম গ্রহ নামে কিছু আছে কি না? খুব সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষদিকেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, ২০২৫ সালের শেষদিকে অত্যাধুনিক ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরি রাতের আকাশ জরিপ করা শুরু করবে। আর সেই জরিপ থেকেই খুঁজে পাওয়া যেতে পারে আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্ল্যানেট নাইন।

প্ল্যানেট নাইন

এখন সত্যিই যদি প্ল্যানেট নাইন বা নবম গ্রহ ধরা দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে নভোযান পাঠাতে চাইবে অনেক দেশ। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তাদের পরিচালিত দুটি নভোযান ভয়েজার ১ ও ২ এর আগে এর চেয়েও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সৌরজগৎ ছাড়িয়ে গেছে। তবে অন্য কোনো দেশও যুক্তরাষ্ট্রের আগে সেখানে নভোযান পাঠাতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু এখন পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে বেশি সফল, তাই উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তথা নাসার নামই ব্যবহার করা যাক।

নাসা যদি নবম গ্রহে মহাকাশযান পাঠাতে চায়, তাহলে এ ব্যাপারে তাদের প্রথমে পরিকল্পনা করতে হবে। তারপর মার্কিন সরকার থেকে অনুমোদন নিতে হবে। একই কথা যে কোনো দেশের জন্যই প্রযোজ্য। এতে অনেক দিন সময় লাগে। কারণ, এগুলো অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার। এ নিয়ে লুক্সেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আন্দ্রেয়াস হেইন বলেন, ‘পরিকল্পনা শেষে কোনো দেশের সরকার থেকে অনুমোদন নিতে প্রায় এক দশক বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগবে। কারণ, মিশনটি হবে দীর্ঘ।’

এসব জটিল বিষয় বাদ দিয়ে আমরা বরং ধরে নিই, পরিকল্পনা শেষে কোনো দেশ সরকার থেকে অনুমোদন পেয়ে গেছে। এখন শুধু নবম গ্রহের যাওয়ার পালা। তাহলে কত দিন লাগবে পৌঁছাতে? ২০২২ সালে অ্যাডাম হিবার্ড নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রি-প্রিন্ট ডেটাবেস আরজিভে (arXiv) এ নিয়ে একটা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। যদিও তা পিয়ার রিভিউ করা হয়নি। সেখানে তিনি হিসাব করে দেখিয়েছেন, নাসার ভয়েজার প্রোবের মতো একটা মহাকাশযান প্ল্যানেট নাইনে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৪৫-৭৫ বছর।