জুমবাংলা ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজীতে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১৮ বছর পলাতক ছিল আসামি অলি নবী ওরফে লাতু মিয়া (৫৫)। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লাতুকে গত সোমবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
র্যাব বলছে, লাতু মিয়া রাজধানীর একটি মাজারের খাদেম ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেছিল। এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলার মাজারে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, লাতু মিয়ার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নাগিরপুর গ্রামে। ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে ওই উপজেলায় ভুক্তভোগীর বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে লাতু মিয়া, ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও কাশেম। বিধবা মাকে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই ১৩ বছরের মেয়েকে তারা ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা পরদিন সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১৯ বছর পর গত ১৪ জুলাই আদালত এ মামলায় আসামি লাতু, জাহাঙ্গীর ও কাশেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ফারুক খালাস পায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, লাতুসহ তার সহযোগীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, গ্রাম্য সালিশ বিচারে হস্তক্ষেপ, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে অর্থ উপার্জন, ভূমি, জলমহাল ও খাস জমি দখল, অসহায় নারীদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত। ওই কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় কিছুদিন কারাগারেও ছিল আসামিরা। পরে জামিনে বের হয়ে পলাতক জীবন শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।