আবার আলোচনার কেন্দ্রে ঢাকাই সিনেমার তরুণ অভিনেতা শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে জড়িয়েছে আরও দুই অভিনেত্রীর নাম। সোমবার দিবাগত রাতে রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবি ও ভিডিওতে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গেছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও টিভি নাটকের অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। অসংলগ্ন ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে সুনেরাহকে। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে রাজ ও তিশা এখনও ঘটনাটি নিয়ে টুঁ শব্দ না করলেও মুখ খুলেছেন সুনেরাহ। এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে পরীমণির হাত আছে বলে আকারে ইঙ্গিতে দাবি করেছেন সুনেরাহ।সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার পর রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর কয়েকটি পোস্ট করা হয়। কোনো পোস্টের ক্যাপশন ‘আই লাভ ইউ ক্রেজি গার্ল, আহা সেই দিনগুলো!’, কোনোটিতে লেখা ‘ওহ মিস ইউ’। প্রথম পোস্টে ১২টি ছবি ও ভিডিও। কয়েকটি ছবি রাজ ও সুনেরাহর ভিডিও কলে কথা বলার সময়ের। আর ভিডিওগুলো রাতের রাস্তায় তাঁদের ঘোরাঘুরির সময়ের।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রিজের ওপর মধ্যরাতে তাঁরা বসে আছেন। আর অশ্লীল ভাষায় পরস্পরের সঙ্গে রসিকতা করছেন। অন্য এক ভিডিওতে রাজ-সুনেরাহকে দেখা গেছে বারে। আরেক ভিডিওতে মধ্যরাতে ফাঁকা রাস্তায় মাতলামি করছেন দুজন। তাদের কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, দুজনের কেউই স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না তখন।
রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট হওয়া আরেকটি ভিডিওতে ধরা পড়েছেন তানজিন তিশা। লিফটের ভেতরে রাজের ক্যামেরায় মদ্যপ অবস্থায় নাচতে দেখা গেছে তিশাকে।
রাজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এসব ছবি ও ভিডিও ২০ মিনিটের মতো ছিল। এরপরই সব পোস্ট ডিলিট করে অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে রাখা হয়েছে। তবে ডিলিট করার আগেই ছবি ও ভিডিওগুলো অনেকের নজরে এসেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা। কারণ ভিডিওগুলোতে শোবিজের এই তিন তারকারই অঙ্গভঙ্গি ও মুখের কথা ছিল কুরুচিপূর্ণ।
সুনেরাহ দুষলেন পরীমণিকে
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে শরিফুল রাজ, তানজিন তিশা ও সুনেরাহ বিনতে কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাড়া দেননি কেউই। তবে রাত ৩টা ১০ মিনিটে সুনেরাহ ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে ঘটনাটি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সুনেরাহ তাঁর পোস্টে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরিফুল রাজের স্ত্রী, অভিনেত্রী পরীমণির দিকে।
ঘটনার সূত্রপাত জানিয়ে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থেকে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমাদের দেখা হলো। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সাথে একটা ছবি তোলা কী এমন অপরাধের বিষয়! তাঁর স্ত্রী (পরীমণি) কোনো কারণ ছাড়াই এটা নিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেল।’
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো নিয়ে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘‘ন ডরাই’’ সিনেমার সময়ের। তখন এভাবেই আমরা মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ন ডরাই সিনেমাটা যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানবেন), মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারবো না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম। ’
পোস্টের শেষে এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে আকারে ইঙ্গিতে পরীমণিকে দায়ি করেছেন সুনেরাহ। লিখেছেন, ‘দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রাজের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।