জুমবাংলা ডেস্ক: ‘সাদা সোনা’কে নিয়ে শিল্পমহলের মতো আশায় বুক বেঁধেছেন সে রাজ্যের বাসিন্দারাও। বিশেষ করে রেয়াসি এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারা। এলাকার নায়েব সরপঞ্চ রাজিন্দর সিংহ বলেছেন, ‘এর ফলে শুধু কর্মসংস্থানেরই সুযোগ বাড়বে তাই নয়, আন্তর্জাতিক মানচিত্রেও জায়গা করে নেবে এই এলাকা। ফলে গতি পাবে পর্যটন ক্ষেত্রও।’ তবে লিথিয়াম খনন করার কাজ খুব একটা সহজ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিথিয়াম খননের কাজ পরিবেশবান্ধব নয়। তবে শেষ পর্যন্ত যদি এই লিথিয়াম খনন করে কাজে লাগানো যায়, তা হলে বদলে যাবে ভারতের ভবিষ্যৎ। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রধান পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অনেক মূল্যায়ণের প্রয়োজন। খননের কাজ শুরুর আগে এই পুরো প্রক্রিয়া করতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লাগবে।’
লিথিয়ামকে ঘিরে যেমন আশোর আলো দেখেছেন উপত্যকাবাসী, তেমনই এর জন্য সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাদের। খননের কাজ শুরু হলে রেয়াসি এলাকায় ৬০টিরও বেশি বাড়ির বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা খনির আধিকারিক শাফিক আহমেদ। লিথিয়ামের খনি নিলামের আগে অনেক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই মুহূর্তে এ নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ, ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খনি বিভাগ। এই কথা জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার বাবিলা রাকওয়াল।
খননের কাজ শুরু হলে ধসের ঝুঁকিও রয়েছে। জম্মুর ‘ক্লাইমেট ফ্রন্ট’-এর সদস্য আদিত্য খাজুরিয়া বলেছেন, ‘জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একাধিক এলাকায় প্রায়ই ধস নামছে। রেয়াসিতে খননের কাজের জন্য পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার।’ ঝুঁকি আছে ঠিকই। লিথিয়াম খনন যাতে সুষ্ঠু ভাবেই করা যায়, সে দিকেই নজর দিচ্ছে প্রশাসন। লিথিয়ামকে ঘিরে বদলের অপেক্ষায় রয়েছেন উপত্যকাবাসী।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।