জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ওয়াহেদ আলীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ওয়াহেদ আলীর তিন সহযোগীকে আটকের জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, মারকাযুদ্দিন আল ইসলামী বালিকা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সে। তার মা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন আর বাবা দরিদ্র রিকশাচালক। তারা সপরিবারে ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে ভাড়া থাকেন।
তার বাবা-মা বাসায় না থাকলে প্রতিবেশী ওয়াহেদ আলীসহ কয়েকজন মাঝে মাঝে তাকে বিরক্ত করতো বিষয়টি ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার সে তার বাবা-মাকে জানিয়েছে। গত প্রায় দুই মাস আগে তার বাবা মা বাসায় না থাকার সুযোগে ওয়াহেদ আলী জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। এ ঘটনার পর গত ২২ জুলাই ওই ছাত্রী বাসায় একা থাকার সুযোগে ওয়াহেদ আলী তার তিন সহযোগী জুয়েল সরকার (৩৪), রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও চঞ্চলের (৪০) সহযোগিতায় পুনরায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানান, সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় গতকাল গজারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রী মা জানান, মেয়েটি শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ রীতিমতো শোয়া থেকে উঠতে পারছে না সে। এই ঘটনায় জড়িত ওয়াহেদ আলী ও তার তিন সহযোগীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তারা। লোকলজ্জার ভয়ে রীতিমতো তারা গৃহবন্দী স্থানীয়রা তাদের সাথে কথাও বলছেন না। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তবে মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলীকে আটক করেছে বাকি আসামি আটকে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য আজ মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।