মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবসের ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় দেখা দেয় যানবাহন সঙ্কট। যানবাহন সঙ্কটের কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন থেকে চারগুন পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। এতে যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তীতে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জে দুপুরের পর থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় বহুগুন। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াঘাট থেকে সেলফি, শুভযাত্রা, নূরে ক্বাবা, সৌরভ, পদ্মা লাইন, নীলাচল, যাত্রীসেবা সার্ভিসের বাসগুলো ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এদিকে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকাও অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে নাকাল হয়ে পড়ে। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের সঙ্কট থাকায় ছোট ছোট লেগুনা, পিকআপ ও ট্রাক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে যাত্রী বহন করছে। এসব লেগুনা, পিকআপ ও ট্রাক চালকরা ৩০/৪০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বিজয় দিবসের ছুটি শেষে ঢাকা যাওয়ার সময় অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে গাড়ির চালক ও হেলপাররা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে গাড়িতে উঠতেই দিচ্ছে না তারা। আবার গাড়িতে উঠার পর অতিরিক্ত ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে চালক ও হেলপাররা।
ঢাকাগামী যাত্রী মোঃ রাশেদ জানান, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ধামরাই পর্যন্ত শুভযাত্রা গাড়িতে ১৫০ টাকা ভাড়া চাইছে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লেগুনায় ধামরাই পর্যন্ত জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় যেতে হচ্ছে।
ঢাকাগামী আরেক যাত্রী রাকিব হোসেন জানান, অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে ৮০ টাকা ভাড়ায় ট্রাকে করে নবীনগর পর্যন্ত যাচ্ছেন।
আরেক যাত্রী মোঃ সোহেল রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য বাসে উঠি। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে আমাদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে বাসের হেলপার আমার স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে কয়েকজন গাড়ি চালকের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আজকে যাত্রী বেশি, গাড়ি অনেক কম। ফেরার পথে খালি আসতে হয় তাই সবাই বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সবাই ভাড়া বেশি নেয়। আমরাও একটু নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোন পারমিশন নাই। অতিরিক্ত ভাড়া নিতে চালকদের নিষেধ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।