অনেক সময় দেখবেন আপনার আশেপাশের মানুষ বা বন্ধু খুব দ্রুত রেগে যায়। অনেকে দ্রুত রেগে যাওয়াকে রোগ হিসেবে মনে করেন। আসলে জীবনের সব পর্যায়ে রাগের নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা জরুরী। তবে রাগের অনুভূতিকে ইতিবাচক হিসেবে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কোন কারনে আপনার রাগের অনুভূতি সৃষ্টি হলে তা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করুন। আপনি অতিরিক্ত রেখে গেলে ডিসঅর্ডার বা উচ্চ রক্ত চাপের মোকাবেলা করতে হতে পারে। মনের ভেতরে রাগ বা ক্ষোভ জমে থাকলে তা বাইরে প্রকাশ করলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়।
এক একজনের রাগের প্রকাশ এক এক রকমের হয়ে থাকে। মানুষের রাগের উৎস হলো অ্যাড্রিনালিন ও এর-অ্যাড্রিনালিন নামে দুটি নিউরো হরমোন। এ হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানুষ দ্রুত রেগে যায়।
ট্র্যাফিক জ্যাম, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সাথে মনোমালিন্যতার কারণে রাগের উৎপত্তি ঘটতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, জন্মসূত্রে মানুষের মধ্যে রাগের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এটি সামাজিকীকরণের মাধ্যমে শেখার প্রয়োজন হয় না।
অতিরিক্ত রেগে গেলে আপনার শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাড্রিনালিন হরমোন বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা ব্যাথা শুরু করা, অসুস্থ হয়ে যাওয়া, ব্রেন স্টোক এবং স্থূলতা ইত্যাদি ঘটতে পারে।
আচমকা রোগের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আলসার ও বদহজমের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আপনার মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা তৈরি হতে পারে।
অতিরিক্ত রাগ আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। যখন আপনার মধ্যে প্রচন্ড রাগের অনুভূতি সৃষ্টি হবে তখন ভেবে দেখুন তা প্রকাশ করার দরকার আছে কিনা। এ পদ্ধতি আপনার মনের মধ্যে রাগের অনুভূতি কমাতে সহায়তা করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।