জুমবাংলা ডেস্ক: অবশেষে গ্রে*ফতার হলেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নি*হতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রে*ফতার দেখানো হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা এলাকার নিজ বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে আনা হয়।
পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য বরগুনা পুলিশ লাইনে আনা হয় এবং রাতে তাকে এ মামলায় গ্রে*ফতার দেখানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে কথা বলার জন্য মিন্নিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে তার বাবা-মাও ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৫ জুন বরগুনা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে (২৩) তার স্ত্রীর সামনে কু*পিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃ*ত্যু হয়।
হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রা*মদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আ*ঘাত করছে। তার স্ত্রী মিন্নি তাকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
নি*হত রিফাত শরীফ নিহত রিফাত শরীফ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীর নাম বলেন।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ওই তিনজনসহ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। পরে তিনি মিন্নিকে গ্রেপ্তা*র করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান।
দুলালের দাবি, মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়েছিল। রিফাতকে হ*ত্যার ঘটনায় মিন্নি জড়িত ছিলেন। আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মিন্নি সঙ্গে যাননি।
মিন্নির দাবি, নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। জোর করে কাবিনে সই নেওয়া হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।