জুমবাংলা ডেস্ক: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফকে কু’পিয়ে হ’ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নি’হতের স্ত্রী’’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে পুলিশ সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে মামলার সাক্ষীকে আসামী করে গ্রেফতার করা হয়।
মিন্নিকে গ্রেফতারের বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছেন, রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলার ১ নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মিন্নি। তার বক্তব্য রেকর্ড ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার বরগুনা পুলিশলাইনে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। এ কারণে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সাক্ষীকে আসামী হিসাবে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এ হ’ত্যাকা’ণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পু’লিশ। তাই রাত ৯টার সময় তাকে গ্রে’ফতার দেখানো হয়েছে৷ শুক্রবার (১৯ জুলাই) বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানব’ন্দি দেন রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলার ১ নম্বর সাক্ষী এবং তার স্ত্রী’ আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এদিন সন্ধ্যায় পৌনে ৬টার দিকে আ’দালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের মিন্নির বাবা বলেন, নি’র্যাতন ও জোরজবরদস্তি করে তার মেয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি নেয়া হয়েছে। রিফাত হ’ত্যাকা’ণ্ডের সঙ্গে তার মেয়ে কোনোভাবেই জ’ড়িত নয় বলে জানান তিনি। তার অ’ভিযোগ, ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে সাজানো জবানব’ন্দি আদায় করা হয়েছে।
ছোট্ট সুখের পরিবারটির একমাত্র কন্যার এমন হালে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম । এদিকে রিফাত শরীফ হ’ত্যাকা’ণ্ডে জ’ড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিয়েছেন এ মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী। তৃতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ডের ছয়দিন শেষে আ’দালতে হাজির করলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত ফরাজী। স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি শেষে আ’দালতের বিচারক মোহাম্ম’দ সিরাজুল ইস’লাম গাজী রিফাত ফরাজীকে জে’লহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।