বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরিফ হ’ত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নি’হতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন তার বাবা। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন আজ বুধবার দুপুরে এ দাবি করেন। এদিকে মিন্নির গ্রেপ্তারের খবরে খুশি বলে জানিয়েছেন শ্বশুর আবদুল হালিম শরীফ।
রিফাতের বাবা বলেন, ‘মিন্নিকে গ্রেপ্তার করায় আমি খুশি। কারণ, আমি এর আগে সংবাদ সম্মেলনে করে এটার দাবি করেছিলাম। আর মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সম্পূর্ণ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয়েই এটা করেছে। এটা প্রশাসনের ব্যাপার।’
মিন্নির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে কোনো মহল প্রভাবিত করেছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য না। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের ব্যাপারে। কারণ তারা তদন্ত করে দেখেছে। প্রথমে তাকে সাক্ষী হিসেবে পুলিশ লাইনসে আনা হয়েছিল। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে এই হ’ত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে বলে আমি মনে করি।’
রিফাত শরীফের বাবা বলেন, ‘নয়ন বন্ড কীভাবে তৈরি হয়েছে অথবা কে করেছে— এটা অবশ্যই প্রশাসন দেখবে। এখন তাদের তদন্তকাজ চালাতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। এখন আমরা যদি বাধা দিই, তদন্ত করার মুখেই তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করি, তাহলে তদন্তকাজ ব্যাহত হবে। এ জন্য আমরা তদন্তে সহযোগিতা করব এবং যেসব আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি তাদের আমরা ধরিয়ে দেব। তাহলেই এটার পেছনে কারা কাজ করে সেটা বের হয়ে আসবে।’
অপরদিকে মিন্নির বাবার অভিযোগ, মিন্নিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ষড়যন্ত্র। মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং এই খু’নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আড়াল করার জন্যই এগুলো সাজানো হচ্ছে। তিনি সঠিক তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার মেয়ে ও পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে গত ১৩ জুলাই মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার শ্বশুর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ আমার ছেলে হ’ত্যার বিষয়ে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় রিফাত হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত এ পর্যন্ত ১৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে আমাকে বলতে হচ্ছে, এ হ’ত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। কীভাবে তারা বাইরে তা বলার জন্যই আমি আজ এখানে এসেছি।’
‘রিফাত হ’ত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত’ উল্লেখ করে শরীফ অভিযোগ করেন, হ’ত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নি’হত নয়ন বন্ডে সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মিন্নির। এ কথা তিনি গোপন করেছিলেন। তার পরিবারও বিষয়টি গোপন রাখে। নয়নকে তালাক না দিয়েই তার ছেলেকে বিয়ে করেন মিন্নি। তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।