স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মাঝপথে হঠাৎ করেই অধিনায়ক পরিবর্তন করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেন নাঈম ইসলাম। তিনি সহ-অধিনায়ক ছিলেন। টসের সময় নাঈম জানান, নিজের খেলায় আরও বেশি মনোনিবেশ করতে মিরাজ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
মিরাজকে নেতৃত্ব থেকে সরানো প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজার কেএম রিফাতুল্লাহ বলেছেন, আসলে মাঠের ক্রিকেটে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা শুধুই মালিক পক্ষ। মাঠের খেলার পরিকল্পনা করার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট আছে। এটা আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাতুল্লাহর পাশে বসে থাকা জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, আমাকে ম্যাচ শুরুর মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা আগে জানানো হলো আমি সিলেট ম্যাচে চট্টগ্রামের অধিনায়ক থাকছি না। আমি কারণ জানতে চাইলাম, তখন ম্যানেজার বলেছেন এটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।
মিরাজ আরও বলেন, আমি তখন ম্যানেজারকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছি, বলা হয়েছে- আমি যাতে ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে ভালো করতে পারি সেজন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। আমি তখন বললাম টপ উইকেট শিকারির তালিকায় আমি আছি। আর ব্যাট হাতেও যথাসম্ভব ভালো করছি। তখন আমাকে বলা হলো- কোচ নাকি বলে গেছেন আমাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে। আমি কোচের সঙ্গে কথা বললাম, তিনি বলেছেন- না এমন কোনো কথা হয়নি।
মিরাজ আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমাকে একদিন আগে বললেও হতো। কিন্তু এভাবে সরিয়ে দেওয়াতে আমার ইগোতে লেগেছে। এটা নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছে, তাই না খেলে ঢাকায় চলে যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, দেখেন- আমি তো আর তাদের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব চেয়ে নেইনি। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করেছে আমি অধিনায়ক হলে ভালো হয়, তাই করেছে। আবার তারা ভালো মনে করলে অধিনায়ক পরিবর্তন করতেই পারে। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে কেন? আমাকে আগে জানালে সবাইকে বলতে পারতাম আমি পরের ম্যাচে আর অধিনায়ক থাকছি না; কিন্তু ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে জানানোয় আমরা অবাক হয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।