চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। এই বিশাল সৌরজগৎ মহাবিশ্বের একটি সদস্য মাত্র। সৌরজগতের সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে যে বিশাল এক একটি সমাবেশ, তাকে গ্যালাক্সি বলে। মহাকাশের গ্যালাক্সিসমূহের মধ্যে মিল্কিওয়ে একটি গ্যালাক্সি। আবার বিপুলসংখ্যক গ্যালাক্সি এবং এদের মধ্যবর্তী স্থানকে একত্রে বলা হয় মহাবিশ্ব। এভাবে সৌরজগৎ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও মহাবিশ্ব পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা মহাবিশ্বের লক্ষ কোটি ছায়াপথের একটি ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগত এই ছায়াপথের অংশ। সূর্য এবং তার সৌরজগতের অবস্থান এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৭০০০ আলোকবর্ষ দূরে মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কালপুরুষ বাহুতে। এটি একটি দন্ডযুক্ত সর্পিলাকার ছায়াপথ, যা স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির একটি সদস্য।
ধরন: Sb, Sbc, বা SB(rs)bc (দন্ডযুক্ত সর্পিল ছায়…
সূর্যের ছায়াপথের আবর্তনের সময়কাল: ২৪০ Myr
তারার সংখ্যা: ২০০–৪০০ বিলিয়ন (৩×১০১১ ±১×১০১১)
সর্পিল প্যাটার্ন আবর্তন কাল: ২২০–৩৬০ Myr
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কত বড়
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কত বড় এই প্রশ্ন অনেকের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে মোটামুটি ৩০ হাজার কোটি (৩০০,০০০,০০০,০০০) নক্ষত্র আছে। সংখ্যাটি এতই বিশাল যে মানুষের পক্ষে তা কল্পনা করাটাও বেশ জটিল একটি বিষয়।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটা সহজ করে বুঝে নেওয়া যাক! সাগরসৈকতের বালুকণার সঙ্গে তুলনা করে সংখ্যাটা কিছুটা বুঝতে সুবিধা হবে। ধরা যাক, প্রতিটি বালুর কণা হলো একেকটি নক্ষত্র। এখন যদি কেউ এক মুঠো বালু সৈকত থেকে তুলে নেয়, তাহলে সেখানে কয়েক হাজার থেকে প্রায় লাখখানেক বালুকণা আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। তাহলে এই সংখ্যক নক্ষত্রই আসলে আমরা অন্ধকার রাতে খালি চোখে দেখতে পাই।
আমরা একটি স্পেসশিপে বসে প্রতি সেকেন্ডে ৩৬০ মাইল বেগে মহাশূন্যে ছুটে চলছি অসীমের পথে। এই স্পেসশিপটি আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি। খালি চোখে আকাশের গায়ে যত নক্ষত্র দেখা যায় (এক শ বিলিয়নের বেশি) সবটাই মিল্কি ওয়ের বাসিন্দা। কত বড় এই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি? গোলাকার এই গ্যালাক্সির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে দুই লাখ বছর। আর এর পুরুত্ব দুই হাজার আলোকবর্ষ (তাই দেখতে একটি চাকতির, মতো বলের মতো নয়)। এত গেল আমাদের এই গ্যালাক্সির কথা। মহাশূন্যে এইরকম গ্যালাক্সির সংখ্যাও এক শ বিলিয়নের বেশি, তাহলে ভাবুন বিশ্বটা কত বড়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।