জুমবাংলা ডেস্ক : মেট্রোরেলের লাইন-৬ উদ্বোধনের প্রস্তুতি সোমবার সরেজমিনে সাংবাদিকদের দেখাল এ প্রকল্পে অর্থায়নকারী ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
এ সময় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জেনারেল কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই-এর প্রতিনিধি ফুজিতোমি তাকায়ুকি, প্রকল্পের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মারুবেনির প্রতিনিধি রাসোনো তেতসুয়া ও ট্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকির প্রতিনিধি মিয়ামোতি হিদিয়াতি।
এ সময় জানানো হয়, মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য ৮০-৯০ ভাগ প্রস্তুতি শেষে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে চলতি মাসের শেষদিকে এটি উদ্বোধন করা হবে।
মেট্রোরেল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সক্ষম। আপাতত যে অংশ চালু হচ্ছে-উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশন হবে নয়টি। এতে ভাড়া পড়বে প্রতি কিলোমিটার ৫ টাকা, সর্বনিম্ন ২০ টাকা। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারে মেট্রোরেল সময় নেবে ২০ মিনিট। পূর্ণমাত্রায় চালু হলে এই সময় কমে আসবে ১৬-১৭ মিনিটে।
ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা জানান, উদ্বোধনের সময় ঘোষণার পর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। প্রথমদিকে শুধু স্টেশনের কাউন্টার থেকে এমআরটি পাশ ইস্যু করা হবে এবং সেটা রিচার্জ করা যাবে।
এছাড়া স্টেশনের কাউন্টার কিংবা টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে নির্দিষ্ট যাত্রার টিকিট (সিঙ্গেল জার্নি টিকিট) কেনা যাবে। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস দিয়েও এমআরটি পাশের টাকা রিচার্জ করা সম্ভব হবে।
মেট্রোরেলের বিষয়ে জনসাধারণকে ধারণা দিতে দিয়াবাড়ীর মেট্রোরেল ডিপোতে স্থাপন করা হয়েছে মেট্রোরেল এক্সিবিশন ইনফরমেশন সেন্টার (এমইআইসি)।
টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি অপশন নির্বাচন করতে হবে। সিঙ্গেল ও পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে।
এরপর আসবে যাত্রীদের গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশনের কত ভাড়া সেই তালিকা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে তার গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট কাটবে তার আপশন আসবে। সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী একবার যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেলের সঙ্গে যাত্রীদের অভ্যস্ততা তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করে প্রথমদিকে ট্রেনের চলাচল সময়টা কম এবং ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বেশি থাকবে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শতভাগ অপারেশন যেভাবে চলে, সেভাবে চলবে। প্রথমদিকে চার মিনিট পরপর ট্রেন চালালে জনসাধারণ এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বা সেভাবে পরিচিত হতে পারবেন না। আবার আমরা দাঁড়ানোর সময়টাকে হয়তো একসময় ৩০ সেকেন্ডে নিয়ে আসব। কিন্তু প্রথমদিকে যদি আপনি এক-দুই মিনিট না দেন, তাহলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে নামবেন-উঠবেন, এই কাজগুলো হবে না।
তিনি জানান, উদ্বোধনের আগেই ৬ বগির ১০টি ট্রেন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখা হবে। ব্যাকআপ হিসাবে আরও দুটি ট্রেন প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি মেট্রোরেল ২ হাজার ৩০০ যাত্রী নিয়ে ছুটতে পারবে বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।