জুমবাংলা ডেস্ক: যে উত্ত্যক্তকারীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সুইসাইড নোট লিখে জামালপুরে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে, সেই অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাতিজা তামিম আহমেদ স্বপন খানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ( র্যাব)।
শনিবার মধ্যরাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চরশসা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৪ স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক ওই ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
জামালপুরের মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, ‘ওই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মেয়েটির বাবা অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাতিজা তামিম আহমেদ স্বপন খানের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে মামলা করেছিলেন। র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।’
করুণ ও হৃদয়স্পর্শী মেয়েটির দুটি চিরকুট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে অনেককে আবেগপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়তো কিশোরী মেয়েটি। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরের কড়িকাঠের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে করে স্বজনরা। সেই কক্ষ থেকে তার হাতে লেখা দুটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।
সেখানে সে লিখেছে, মা, বাবা- ওয়াহাব চেয়ারম্যানের ভাতিজা আজকে সারাদিন আমাকে নিয়ে একরুমে কাটাইছে। ও আমারে খুব ডিস্টার্ব করতো।
ও আমাকে বলেছে ওর সাথে দেখা করলে আমার জীবন থেকে চলে যাবে। কিন্তু ও আমার সাথে খুব খারাপ কিছু করেছে, বলার মতো না। বাবা, মা তোমরা ভালো থেকো আর ছেলেটির নাম তামিম আহমেদ স্বপন খান।
আরেক চিরকুটে সে লেখে, মা আমার সাথে ওয়াহাব চেয়ারম্যানের ভাতিজা আজকে একদিন একরুমে কাটাইছে। পারলে ক্ষমা করো। আর যদি কোনো বিচার করো ছেলেটার নাম তামিম আহমেদ স্বপন খান। মা বাবা তোমরা ভালো থেকো। আমারে ভুলে যেও। আমি বেঁচে থাকলে তোমাদের সম্মান শেষ হয়ে যেতো। বাবা, মা আমি আবার বলতেছি ভালো থেকো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।