স্পোর্টস ডেস্ক : অনুশীলনে পা মচকে গেছে মেসির-এমন খবরে শঙ্কার চোরা স্রোত যেন বয়ে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি শিবিরে। সেই স্রোত পেরিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা মাঠে নামলেন। আবারও গোল করলেন। ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দলকে নিলেন লিগস কাপের ফাইনালে।
পেনসিলভেনিয়ার সুবারু পার্কে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে ৪-১ গোলে জিতেছে মায়ামি। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি।
প্রধমার্ধেই তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সফরকারীরা। এসময় অন্য দুই গোল করেন জোসেফ মার্টিনেজ ও জর্দি আলবা। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ করে স্বাগতিক ফিলাডেলফিয়া। শেষদিকে ডেভিড রুইজের গোলে ব্যবধান বড় করে ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে মায়ামি শিবির।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় মায়ামি। ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের লম্বা পাস রক্ষণজাল ছিড়ে নিয়ন্ত্রণে নেন জোসেফ মার্টিনেস। এরপর ডান পায়ের কোনাকুনি ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্ট্রাইকার।
অষ্টাদশ মিনিটে দেখা মেলে মেসি জাদুর। মার্টিনেসের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন প্রায় মাঝমাঠে। সেখান থেকেই নেন জোরালো নিচু শট। অব্যর্থ সেই শটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। এ নিয়ে মায়ামির হয়ে খেলা ছয় ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন রেকর্ড সাতবারের এই বর্ষসেরা ফুটবলার। আসরে তার মোট গোল হলো ৯টি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান আলবা। বাম প্রান্ত থেকে পাল্টা আক্রমণে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন এই স্প্যানিয়ার্ড। টেইলরের লম্বা পাস পেয়ে গতিতে প্রতিপক্ষ রক্ষণ-শিবিরকে পরাস্ত করে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সেলোনার সাবেক এই লেফট-ব্যাক। নতুন ঠিকানায় আলবার প্রথম গোল এটি।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে একটি গোল শোধ দেয় ফিলাডেলফিয়া। আর রুইজের গোলটি ৮৪তম মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে মেসি বল দেন ইয়েদলিনকে। ইয়েদলিনের পাস থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান ৪-১ করে দেন মিডফিল্ডার রুইজ।
মেসির উপর ভর করেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে মায়ামি। টানা ১৩ ম্যাচ জয়ের মুখ না দেখা দলটি মেসি আসার পর বদলে গেছে। পরের টানা ছয় ম্যাচেই পেল জয়ের স্বাদ। প্রতি ম্যাচেই গোল করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। সব মিলিয়ে ৯ গোলের পাশাপাশি আছে তিনটি অ্যাসিস্ট।
আগামী শনিবার ফাইনাল। শিরোপা লড়াইয়ে মেসিদের প্রতিপক্ষ এফসি মনটেরি ও নাশভিল এসসির মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।