জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে মেয়েকে ধ’র্ষণের অভিযোগে মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে আ’টক করেছে থানা পুলিশ। আ’টক আলম মিয়া আলম (৩০) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া এলাকার লম্বা কলোনীতে বসবাস করছিল। আজ বুধবার বিকেল ৫টায় ওই কলোনী থেকে আলমকে আ’টক করে পুলিশ।
বুধবার থানায় আলমের বিরুদ্ধে এই নিয়ে অভিযোগ দেন উপজেলার নতুন বাজারের আছকির মিয়ার বাসায় বসবাসকারী স্বামী পরিত্যক্তা ললিতা বেগমের মেয়ে ও ওমান প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী সুহেনা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পুরান লাউড়েরগড়।
অভিযোগে এক মেয়ে সন্তানের জননী সুহেনা বেগম উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আলম মিয়া সাহায্য সহযোগিতা করার জন্যে প্রায়ই আমার স্বামী পরিত্যক্তা মায়ের ঘরে আসা-যাওয়া করত। আমার মা তাকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিতেন। ঘটনার ১০ দিন পূর্বে আমি চট্টগ্রাম থেকে আমার মায়ের বাসায় আসি। কয়েকদিন পর আমার ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে মা নানা বাড়ি সুনামগঞ্জে যান। গত ৫ আগস্ট সোমবার রাত এগারোটার দিকে দোকান থেকে চা নিয়ে এসে আলম আমাকে খেতে দেয়। চা পান করে আমি অচেতন হয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ২টার দিকে সে আমার অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও আমাকে ধ’র্ষণ করে। পরে আমাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগকারীর মা ললিতা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আলমের সাথে আমার বিয়ে হয়নি। তার সাথে ‘সম্পর্ক’ থাকায় সে প্রায়ই আমার ঘরে আসতো।
আলমকে আ’টকের সত্যতা স্বীকার করে থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।