জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদরাসাপড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা শহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মরধর করেছেন ছেলের বাবা-চাচা মিলে। আহত ওই বাবা বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীরপাড় এলাকার রসুলের ছেলে ও উত্ত্যক্তকারী বখাটে শহিদ (১৮), মমিনুরের ছেলে মিজান (২০), বখাটে শহিদের বাবা ও মৃত সুলতানের ছেলে রসূল (৪০), চাচা বাদশা মিয়া (৩০) ও শুক্কুর আলী (২৩)।
আহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম বেজ গ্রামের ডাঙ্গীরপাড় এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থী কহিনুর পশ্চিম বেজ গ্রাম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মেয়েটি প্রতিদিন সকালে আরবি পড়তে মসজিদে যায়। প্রায় দিন তার পথরোধ করে বখাটে শহিদ। এ সময় বখাটে শহিদ তাকে নানা ধরনের আজেবাজে কথা বলে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে শহিদ জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে তাকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাড়ি গিয়ে তার মাকে সব কিছু খুলে বলে। পরে তার মা বাবা শহিদুলকে বিষয়টি খুলে বলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শহিদুল ইসলাম ওই বখাটের কাছে গিয়ে মেয়েকে উত্ত্যক্তের বিষয়ে জানতে চান এবং প্রতিবাদ করেন। এ সময় বখাটের বাবা-চাচাদের সঙ্গে শহিদুলের তর্ক-বিতর্ক লাগে। সেই জেরে ওই দিন রাতে শহিদুল মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা পথরোধ করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় শহিদুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শহিদুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ওই বখাটে শহিদ আমাকে প্রায়ই বিরক্ত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়। শুধু তাই নয়, শহিদ আমার হাত ধরে টানাহেঁচড়াও করেছে। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার বাবাকে মারধর করেছে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই, সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বখাটে শহিদের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, আমি বাড়িতে গিয়ে কল দিয়ে সব কিছু বলতেছি। বলেই কলটি কেটে দেয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।