জুমবাংলা ডেস্ক : গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ থাকা ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে আজ রোববার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি বিশ্বস্ত সূত্র কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথারীতি বন্ধ থাকবে। প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেওয়া চিঠির জবাব এবং পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নের ঘটনায় সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সীমিত করা হয়। এর পরদিন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন। একই দিন সন্ধ্যায় সঞ্চালন লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। ফলে দেশজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়। পাশাপাশি দাবি ওঠে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগও চালু করার। গত বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী পলক জানিয়েছিলেন যে, মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ সকাল ৯টায় বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটর এবং অপারেটরগুলোর সংগঠন এমটব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রতিমন্ত্রী পলকের। বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের পর সকাল ১০টায় সাংবাদিকদের ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেটবিষয়ক সিদ্ধান্ত জানাবেন পলক।
তবে বিটিআরসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এরই মধ্যে কালবেলাকে জানিয়েছে, এমটবের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর ঘোষণা আসবে। তবে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথারীতি বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত আসবে বৈঠকে। এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
অন্যদিকে চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ধীরগতিতে রয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। যদিও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল বিটিআরসি। তবে গতকাল দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’-এর সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের জন্য এই কেবলের সঙ্গে সার্কিটগুলোতে ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকে দিনভর। বেশকিছু ক্যাশ সার্ভার এখনো পুরোপুরি সচল না হওয়ায় গুগল, ইউটিউবের মতো বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।