স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচই হার দিয়ে শুরু হয়েছে ভারতের। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মার দলকে ১ উইকেটের বিনিময়ে হারিয়েছে টাইগাররা।
জয়টা মোটেও সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। বরং জয় থেকে মাত্র এক বল দূরে ছিল ভারত, অন্যদিকে বাংলাদেশ ছিল ৫১ রানের দূরে। শেষ উইকেটে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। অন্যদিকে ভারতের দরকার ছিল আর একটি মাত্র উইকেট। এমন ম্যাচই মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টাইগাররা। মিরাজ অপরাজিত থাকলেন ৩৮ রান করে। ফিজের ব্যাট থেকেও এসেছে মূল্যবান ১০ রান।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে রাহুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া বাকি কোনো ব্যাটসম্যানই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। সেই ১৮৭ রান টপকাতেই নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকেও। খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে উইকেটের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা। কেমন ছিল তাহলে আজ মিরপুরের উইকেট?
এ নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিত মনে করেন, ১৮৬ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবুও বোলারদের কল্যানে একটা সময় সেটা সম্ভব হবে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ উইকেটের পার্টনারশিপে যেটা আর হয়ে ওঠেনি।
রোহিত বললেন, অন্তত আরও ৩০-৪০ রান দরকার ছিল আমাদের। আমি ভেবেছিলাম স্কোরটা ২৪০-২৫০ হতে পারে। যখন রাহুল ও ওয়াশিংটন সুন্দর ব্যাটিং করছিল। কিন্তু আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি।
মিরপুরের উইকেট ও কন্ডিশন নিয়ে ভারতের অধিনায়ক বলেন, পিচ কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে এমন হারের জন্য কোনো বাহানা থাকতে পারে না। কারণ আমরা এমন পিচ, কন্ডিশনে খেলেই বেড়ে উঠেছি। তাই্ এই হারের জন্য কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। এই দলের অধিকাংশ খেলোরই এমন উইকেটেই খেলে এসেছে। তাদের এই পিচ সম্পর্কে ধারণাও আছে। এমন যে নয় তাদের এই ধরণের উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেই। হয়তো আমরা চাপটা নিতে পারিনি। চাপ সামলাতে হবে।
রোহিত বিশ্বাস করেন তার দল পরের ম্যাচেই ঘুরে দাড়াবে। তিনি বলেন, আমরা জানি এই কন্ডিশনে আমাদের কি করতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচেই দল হিসেবে আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।