জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারের ফল, কাঁচামাল ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় দেখা গেলো, এই বাজারে গত কয়েকদিন ধরে তরমুজসহ নিত্যপণ্য চড়া দামে বিক্রি করলেও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা তরমুজ দুপুরে ৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। এমনকি ৮০ টাকা কেজির সবজি ৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ৫০ টাকা হালির লেবু ৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অনেক ব্যবসায়ী আবার ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে দোকানের সামনে কাপড় ঢেকে সরে গেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তরমুজ বিক্রেতাদের কেনার রসিদ যাচাই-বাছাই করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি বিভিন্ন মুদি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানোসহ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন। একজন ফল বিক্রেতা ক্রয়ের রসিদ দেখাতে না পারায় এবং বেশি দামে বিক্রি করায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তরমুজ ও নিত্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করায় এ অভিযান চালানো হয়।
গোয়ালন্দ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মনির হোসেন বলেন, বুধবার যে তরমুজ ৪৫০ টাকায় কিনেছি, আজ সেই তরমুজ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি বাজারের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন অভিযান চালানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে যে তরমুজ আমার কাছে ৩৫০ টাকা চেয়েছিল, সেটি ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ২২০ টাকায় কিনেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে ব্যবসায়ীরা বাড়াতে না পারে, সেজন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিটি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানাতে হবে, যেন ক্রেতারা কোনও রকম প্রতারিত না হন। এই অভিযান চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।