যশোর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মাদ্রাসার এক ক্ষুধার্ত শিশু মাত্র দশ টাকা খরচ করে খেয়ে ফেলার কারণে মোঃ ইমামুল হক (হুজুর) তাকে পিটিয়েছে।
সে শুভরাঢ়া ইউনিয়নের খানজাহান আলী নূরানী হাফেজী মাদ্রাসার শিক্ষক। ঘটনার শিকার শিশুর নাম মোঃ রমজান মোল্যা (১০)।
রমজান মোল্যা অভয়নগর থানার বাশুয়াড়ী গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ আজানুর মোল্যার পুত্র। রমজান মোল্যা অন্য শিক্ষার্থীদের মতো বাড়ি থেকে খেয়ে দুপুর পর্যন্ত টাকা, চাল তুলে ইমামুল হকের কাছে জমা দেয়। তারপর পড়াশুনা করে বাড়ি ফিরে যায়।
গত বুধবার সে ও আরও দুইজন শিক্ষার্থী ‘কালেকশনের টাকা’ হতে দশ টাকা খরচ করে খাবার কিনে খায়। বিষয়টি জানার পর শিক্ষক ইমামুল শিক্ষার্থী রমজানকে বেদম প্রহার করে। এ সময় রমজান হুজুরের পা ধরে ক্ষমা চাইলেও সে ক্ষমা না করে প্রহার করতেই থাকে।
এক পর্যায়ে রমজান অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে একটি কক্ষের ভেতর বন্দি করে তার পিতা মাতাকে খবর দিয়ে আনা হয়। তারা রমজানকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম মাহমুদুর রহমান রিজভী বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রমজান মোল্যার কোমর ও নিতম্ব থেকে দুই পায়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।’
নূরানী হাফেজী মাদ্রাসা শিক্ষক মো ইমামুল মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার পকেট থেকে ১৫০০ টাকা খোঁয়া গেলে তাকে হাতের লাঠি দ্বারা কয়েকটি বাড়ি মেরেছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী শেখ বলেন, ‘বিভিন্ন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ ইমামুল বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি অর্থ ও চাউল সংগ্রহ করে, প্রকৃত পক্ষে সেখানে কোন শিক্ষা দেওয়া হয় না ‘
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রকিবুজ্জামান জানান, ‘শিশু নির্যাতনের কোন মামলা হয় না। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।