আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করতে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আরব লীগের জরুরি বৈঠকে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানে ট্রাম্পের প্রকাশিত শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা সম্পর্ক বাতিলের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নামের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহর জেরুজালেমের বাইরের আবু দিস নামের একটি ছোট গ্রামকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনায় জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে নামমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে, যে রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী থাকবে না।
এ বিষয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, এই চুক্তির পর তিনি ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন যে, নিরাপত্তা সম্পর্কসহ তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের সম্পর্ক থাকবে না। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাম্পের এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, জর্ডান উপত্যকায় দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপনে ইসরায়েলকে অনুমতি দেয়া হয়। ইসরায়েলি স্বার্থের সুরক্ষায় হোয়াউট হাউস এই চুক্তি প্রকাশ করেছে।
২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সব ধরনের ছিন্ন করেন মাহমুদ আব্বাস। আরব লীগের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ওই বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন কল ও ক্ষুদে বার্তায় সাড়া দেননি।
“কারণ আমি জানি, পরে তিনি এটাকে ব্যবহার করে বলবেন, এই চুক্তির ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। আমরা এই সমাধান কখনই মেনে নেব না। আমার ইতিহাসে এটাকে কখনই রেকর্ড করবো না যে, আমি জেরুজালেমকে বিক্রি করে দিয়েছি।”
তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিনিরা এখনও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনও ধরনের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মেনে নেবেন না ফিলিস্তিনিরা। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার কাছে যাবে ফিলিস্তিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।