আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গিবাদের মূল কুশীলব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিউইয়র্কের বৈদেশিক সম্পর্কের কাউন্সিলে (সিএফআর) জঙ্গিবাদের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস উল্লেখ করে কৌশলপূর্ণভাবে তিনি দাবি করেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খেলছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভির।
জঙ্গিবাদের ইতিহাস টেনে ইমরান বলেন, ‘১৯৮০ সালে সোভিয়েতের দখলে ছিল আফগানিস্তান। সেই সময় পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে সোভিয়েতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আইএসআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিদের সারা পৃথিবী থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সোভিয়েতের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য। আমরা তিনটি জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করি সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। জিহাদিরা তখন নায়কের মর্যাদা পেত। এরপর এলো ১৯৮৯। সোভিয়েত আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেল। মার্কিনিরাও গোছগাছ শুরু করল, তারপর আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেল তারাও। আমরা রয়ে গেলাম এই গোষ্ঠীদের নিয়ে।’
এরপরই ইমরান ৯/১১ হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এরপর এলো ৯/১১। পাকিস্তান আবারও আমেরিকাকে সমর্থন করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিলো। তখন আমাদের এই গোষ্ঠীদের জঙ্গি হিসেবে ধরে নিয়ে এগোতে হলো। তাদের শেখানো হয়েছিল বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার নাম জিহাদ। কিন্তু যেই আমেরিকা আফগানিস্তানে এলো, তখন সেটা হলে গেল সন্ত্রাসবাদ।’
৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হাত মেলানো পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো উল্লেখ করে পাকিস্তানের ২৭ তম প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাক সরকারের উচিত হয়নি, যেটা করা সম্ভব নয় সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া। পাকিস্তান সেই তিনটি দেশের অন্যতম যারা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। পরে ৯/১১ হামলার পর তারা তালেবানের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাকে সমর্থন করেছিল। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের উচিত ছিল নিরপেক্ষ থাকা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা ১৯ বছরেও সফল না হয়ে থাকেন, তার অর্থ আপনারা আগামী ১৯ বছরেও সফল হতে পারবেন না।’
এরপরই চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে যখন পাকিস্তান অত্যন্ত বিপন্ন অবস্থায় ছিল।’ দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতি নিয়েও কাউন্সিলে কথা বলেন ইমরান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।