আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেয়া উচিত। ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে মস্কো সফররত ম্যাকরন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এ মন্তব্য করেন। খবর পার্সটুডে’র।
তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে রক্ষা ও রাশিয়ার সন্তুষ্টির মধ্যে একটি ‘নয়া ভারসাম্য’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।ম্যাকরন বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না। তবে রাশিয়ার টার্গেট ইউক্রেন নয় বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর পরিধি স্পষ্ট করার দাবি জানাচ্ছে মস্কো।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লক্ষাধিক সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করলেও ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। মস্কো বলছে, ইউক্রেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে এই জোটের সেনা সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি দু’টি বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না বরং পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে রাজি আছে।
ম্যাকরন রোববার রাতে মস্কোয় পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আসন্ন বৈঠকের ফলে সামরিক সংঘাত এড়ানো যাবে বলে তিনি আশা করছেন।এছাড়া, প্রেসিডেন্ট পুতিন আরো বিস্তৃত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হবেন বলে তিনি মনে করছেন।রোববারই মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া একতরফাভাবে উত্তেজনা প্রশমনের পদক্ষেপ নেবে বলে কেউ যেন আশা না করে। তিনি বলেন, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার অধিকার রাশিয়ার রয়েছে।
ফ্রান্সের দুই মিত্র জার্মানি ও আমেরিকার সঙ্গে শলাপরামর্শ করেই প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন রাশিয়া সফরে গেছেন। মস্কো সফর শেষে তিনি ইউক্রেনে যাবেন। ইউক্রেন ইস্যুতে যখন পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন ম্যাকরনের এ সফরের প্রতি আন্তর্জাতিক মনযোগ আকৃষ্ট হয়েছে। আগামী এপ্রিলে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার আগে ইউক্রেন ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছেন ম্যাকরন।তিনি এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে নয়া সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট গতমাসে বলেছিলেন, ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।