জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর পুরো রাজনৈতিক জীবনই নানা নাটকীয় ঘটনায় ভরপুর। আসুন একনজরে দেখে নিই ওমর ফারুক চৌধুরীর ইতিবৃত্ত।আশির দশকের শুরুতে তিনি যুক্ত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক লীগের সাথে। এরপর এরশাদের আমলে করতেন জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব সংহতি। ব্যবসা করে হয়েছেন ঋণখেলাপি, পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী রাজনীতিতে। ২০০৯ সালে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন ওমর ফারুক, ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান।
২০১৭ সালের জাতীয় যুবনীতি অনুসারে, ১৮ থেকে ৩৫ বছরের বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক যুব হিসেবে গণ্য হবে।
কিন্তু যুবলীগ চেয়ারম্যানের বর্তমান বয়স ৭১ বছর। তিনি সাত বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কমিটি হওয়ার কথা।
এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার সময় ওমর ফারুক শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহমান (মঞ্জু) এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য হলে ওমর ফারুক দল বদল করেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব সংহতির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলে তিনি সদস্য হন। ১৯৯৭ সালে তিনি উত্তর জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। ওই কমিটির মেয়াদ ছিল ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই ব্যাংকের খাতায় ঋণখেলাপি হিসেবে নাম ওঠে তাঁর।
১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রামের কে সি দে রোডের শাখা থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী শেখ সুলতানার নামে থাকা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাওনিট অ্যাপারেলস ও মেসার্স রাও গার্মেন্টসের নামে ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়, যা পরে সুদ-আসলে সাড়ে ৪৪ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। টাকা আদায় না করতে পেরে অর্থঋণ আদালতে যায় ব্যাংক।
সম্পদ নিলামে ওঠার দুই মাস আগেই যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন ওমর ফারুক চৌধুরী। আওয়ামী লীগও ওই বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসে। পরিস্থিতি বদলাতে থাকে তাঁর। ইতিমধ্যে ব্যাংকঋণের একটি অংশ পরিশোধও করেছেন তিনি।
তবে বর্তমানে ওমর ফারুক চৌধুরী কোনো ব্যবসাতে সম্পৃক্ত আছেন বলেও জানা যায় নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ওমর ফারুক চৌধুরীর সকল ব্যাংক একাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।